'ত্বক স্পর্শ না করলে যৌন হেনস্থা নয়' - রায় দেওয়া বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা ইস্তফা দিলেন

গত বছরের শুরুতে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, পকসো ধারায় 'যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে', তবেই তা যৌন হেনস্থা বা নির্যাতন বলা যাবে।
পুষ্পা গানেদিওয়ালা
পুষ্পা গানেদিওয়ালা ছবি - সংগৃহীত
Published on

শেষপর্যন্ত ইস্তফা দিলেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা। যদিও তাঁর মেয়াদ শেষ হয়নি এখনও। প্রসঙ্গত, তিনি রায় দিয়েছিলেন, ত্বক স্পর্শ না করলে যৌন হেনস্থা বলা যাবে না। পকসো আইনের আওতায় একটি শিশুর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় এমনই রায় দিয়েছিলেন তিনি।

তাঁর এই রায়ে সারা দেশে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। শনিবারই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবারই তিনি পদত্যাগ করলেন। তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

গত ১৫ জানুয়ারি বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়াল ৫০ বছরের এক ব‍্যক্তির আবেদনের শুনানিতে এই রায় ঘোষণা করেছিলেন। পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মামলায় ওই ব‍্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল দায়রা আদালত। লিবনুস কুজুর নামের ওই অভিযুক্ত ব‍্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল আদালত।

নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ‍্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন কুজুর। সেখানে বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়াল বলেন, জোর করে হাত ধরে রাখা এবং প‍্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে না। তাঁর ব‍্যাখ‍্যা, POSCO আইনে যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞায় "বিনা অনুমতিতে যৌন ইচ্ছায় শিশুর শরীর স্পর্শের" কথা বলা হয়েছে।

পুষ্পা গানেদিওয়ালা বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে অতিরিক্ত বিচারপতির পদে ছিলেন। গতকাল শনিবার অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে তাঁকে বম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়।

২০০৭ সালে তিনি জেলা বিচারক হন। ২০১৯-এ ১৩ ফেব্রুয়ারি, তিনি দু'বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। ২০২১-এর জানুয়ারিতে শিশুদের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত দু'টি রায় দেন তিনি। তাঁর এই রায়ে শোরগোল পড়ে যায়।

পুষ্পা গানেদিওয়ালা
যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে শরীর স্পর্শ না করলেও তা পকসো আইনের আওতাভুক্ত হবে - সুপ্রিম কোর্ট

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in