

কী ধরনের অপরাধ করলে তা পকসো আইনের আওতাভুক্ত হবে, তা এবার স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ একটি মামলার রায় দেয়। সেই রায়কে সামনে রেখে শীর্ষ আদালত পাল্টা তার মতামত জানিয়ে দিল, যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে শরীর স্পর্শ না করলেও তা পকসো আইনের আওতাভুক্ত হবে। নাগপুর বেঞ্চের রায় ছিল, ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ না হলে তা পকসো আইনের আওতায় পড়ে না।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট ও বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানিয়েছে, শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি হয় পকসোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। অথচ স্পর্শ, ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ ইত্যাদি বলে সেই আইনকে ছোট করা হচ্ছে। ধ্বংস করা হচ্ছে পকসো আইনকে।
উল্লেখ্য, বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালার সম্প্রতি একটি রায়ে বলেন, পোশাকের উপর দিয়ে যদি কেউ নাবালিকার শরীরে হাত দেয়, তবে তা পকসো আইনের আওতায় যৌননিগ্রহ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে, তবেই তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে গণ্য হবে। আর একটি মামলার রায়ে তিনি বলেন, কোনও নাবালিকার হাত ধরা কিংবা প্যান্টের চেন খোলার মতো বিষয় পকসো আইনের ধারায় যৌন নির্যাতন বলে বিবেচনা করা হবে না।
সেই রায় নিয়ে এদিন শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির স্পষ্ট বক্তব্য, কেউ যদি যৌন নিগ্রহের অভিপ্রায়ে পোশাক বা অন্য কিছুর উপর দিয়ে শরীর স্পর্শ করে, তবে তা পকসো আইনের আওতাভুক্তই হবে। এমনটাই স্পষ্ট করে বলা আছে। কোর্ট এই বিষয়ে অস্পষ্ট মন্তব্য করতে পারে না।
গত ১২ জানুয়ারি নাগপুর বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল, জাতীয় মহিলা কমিশন ও রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন