সমাজমাধ্যমে নিটের কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, তবে তা একেবারেই স্থানীয়স্তরে। বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এমনই জানিয়েছে জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা (এনটিএ)।
দাখিল করা হলফানামায় এনটিএ জানিয়েছে, সিটি কো-অর্ডিনেটর, কেন্দ্র সুপারিনটেনডেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট পরীক্ষা করা হয়েছে। এনটিএ দাবি করেছে, “পটনায় নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে ট্রাঙ্কে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার কোনওটারই তালা ভাঙা ছিল না। কোনও প্রশ্নপত্রই হারিয়ে যায়নি পরীক্ষার আগে।“
উল্লেখ্য, বিহারের রাজধানী পাটনা থেকেই নিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। এবং এই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই সেরাজ্য থেকে আটজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই আবহে এনটিএ –র হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এর আগে গত সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছিল, "যদি পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়, যদি আমরা দোষীদের চিহ্নিত না করতে পারি, তাহলে পুনরায় পরীক্ষার আদেশ দিতে হবে।“ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানিয়েছিল, যদি পুনরায় পরীক্ষা হয়, তাহলে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করবে।
দাখিল করা হলফনামায় রাজস্থানে সাওয়াই মাধোপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এনটিএ-র দাবি, সেখানে প্রথমে ভুল প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়েছিল। পরে তা শুধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে হল ছেড়েছিলেন। তাই সেই সব পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমে কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
এনটিএ আরও জানিয়েছে, “প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে জ্যামার থাকার কারণে কোনও শিক্ষার্থীর পক্ষে ফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা সম্ভব ছিল না। যার ফলে প্রশ্নফাঁসের কোনো সম্ভবনাই নেই।“
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন