সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না প্রদর্শন করা যাবে না - কেন্দ্রের আরও এক বিতর্কিত নিয়ম

অসংসদীয় শব্দ ঘিরে বিতর্কের মাঝেই আরও একটি নতুন নিয়ম চালু করলো সাংসদ। সংসদ চত্বর এবং তার আশেপাশে বিক্ষোভ, ধর্না, অনশন, ডেমনস্ট্রেশন প্রদর্শন করা যাবে না।
সংসদ চত্বরে গান্ধী মুক্তির সামনে বিক্ষোভ বিরোধীদের
সংসদ চত্বরে গান্ধী মুক্তির সামনে বিক্ষোভ বিরোধীদেরফাইল ছবি
Published on

অসংসদীয় শব্দ ঘিরে বিতর্কের মাঝেই আরও একটি নতুন নিয়ম চালু করলো সাংসদ। সংসদ চত্বর এবং তার আশেপাশে বিক্ষোভ, ধর্না, অনশন, ডেমনস্ট্রেশন প্রদর্শন করা যাবে না। শুক্রবার রাজ্যসভার সচিবালয়ের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে এরকম একটি নোটিশ জারি করে তা পূরণ করার জন্য সাংসদদের সহযোগিতা কামনা করেছেন রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পি সি মোদী। বুলেটিনে বলা হয়েছে, "সংসদ ভবনের আশেপাশে কোথাও বিক্ষোভ, ধর্না, ধর্মঘট, অনশন, প্রতিবাদ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারবেন না সাংসদরা।"

অসংসদীয় শব্দের মতো সংসদের এই সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধী নেতারা। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে ট্যুইটারে লিখেছেন, "বিশ্বগুরুর নতুন নির্দেশ - ডরনা (ধর্না) মানা হ্যায়!"

বুধবারই বিবৃতি জারি করে বেশ কিছু শব্দকে অসংসদীয় ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। এই শব্দগুলির মধ্যে রয়েছে - বিশ্বাসঘাতক, লজ্জিত, গালাগালি, প্রতারিত, চামচা, চামচাগিরি, দুর্নীতি, কাপুরুষ, অপরাধী, কুমিরের কান্না, অসম্মান, গাধা, নাটক, ভণ্ডতা, অযোগ্য, বিভ্রান্তি, অসত্য, ললিপপ, বেচারা, মূর্খ, কালাদিন, দাঙ্গা, দালাল, চরিত্রহীন, গিরগিটি ইত্যাদি। আগামী বাদল অধিবেশন থেকে এই শব্দগুলি আর সংসদে ব্যবহার করা যাবে না।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের কথায়, যে শব্দগুলিকে অসংসদীয় ঘোষণা করা হয়েছে, মোদী সরকারের ব্যর্থতা বোঝাতে এই শব্দগুলোই ব্যবহার করা হয়। তাই এগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সংসদ চত্বরে গান্ধী মুক্তির সামনে বিক্ষোভ বিরোধীদের
‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, 'দালাল' সহ একাধিক শব্দ অসংসদীয়! কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in