

মমতা ব্যানার্জি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশাপাশি আরও ছয় অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক 'বয়কট' করলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, দিল্লিতে ক্ষমতা দখলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে কেন্দ্র যে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই পথে হেঁটেছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই নবান্ন থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে তিনি যাবেন না। তাঁর বক্তব্য ছিল, সবার শেষে বাংলার বলার সুযোগ আসে। তখন কার্যত বৈঠক শেষ হয়ে যায়। বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। মমতার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে মমতা ব্যানার্জি, কেজরিওয়ালের পাশাপাশি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান কেন্দ্রকে একটি চিঠি লিখে জানান, কেন্দ্র পাঞ্জাবের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ। গত বারে গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও কৃষকদের একাধিক দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনো সুরাহা হয়নি। ওই বৈঠক কেবল 'ফটো সেশন' করার জন্য হয়।
উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেই রোড ম্যাপে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিকশিত ভারত ২০৪৭, MSME-র ওপর জোর, পরিকাঠামো ও বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নতিতে গতিবৃদ্ধি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন