কংগ্রেসের যুগ ছিল ‘অন্ধকাল’, এখন বিজেপির যুগ ‘অমৃতকাল’ - নির্মলা সীতারামণ

প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সময় কংগ্রেস, আইইউএমএল এবং ডিএমকে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে। বিরোধী দলগুলির পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের হাউসে বসে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার ধৈর্য নেই।”
নির্মলা সীতারামণ
নির্মলা সীতারামণ ফাইল চিত্র
Published on

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেসের যুগকে ‘অন্ধকাল’ এবং বিজেপির যুগকে ‘অমৃতকাল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন - “ আমাকে ১৯৯১ সাল থেকে আপনাদের সরকারের সময় দিয়ে শুরু করতে দিন, যখন ভারতে মাত্র দুই সপ্তাহের বৈদেশিক রিজার্ভ ছিল। এটি ছিল প্রকৃত অর্থে ‘অন্ধকাল’এবং আপনাদের অর্থনৈতিক সংস্কার আনতে বাধ্য করেছিল।”

তিনি আরও বলেন – “UPA-I-র সময় ছিল দ্বিগুণ মূল্যস্ফীতি এবং UPA-II –র সময় কয়লা কেলেঙ্কারি, 2G কেলেঙ্কারি, অ্যানট্রিক্স-দেভাস কেলেঙ্কারি। অর্থনীতির সমস্ত প্যারামিটারগুলি ব্যাহত হয়েছিল। এটি ছিল ‘পলিসি প্যারালাইসিস’ যুগ। তাঁর দাবি - ভারতীয় অর্থনীতি এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। পরের বছর ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। যেখানে মার্কিন অর্থনীতি, যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসাবে বিবেচিত, ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তাঁর কথায়, “মোদি সরকার মহামারীর সময়েও আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ০.৯ শতাংশ উদ্বৃত্ত রাখতে পেরেছে, যেখানে ইউপিএ আমলে ২ শতাংশের বেশি রাজস্ব ঘাটতি ছিল।” ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে করোনা মহামারীকে তুলনা টেনে বলেন – “২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সময় ভারতীয় জিডিপি ২.২১ লাখ কোটি হারিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সংকটে, ভারতীয় জিডিপি ৯.৫৭ লাখ কোটি হারিয়েছে। তা সত্ত্বেও, ২০২০-২১ সালে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.২ শতাংশ, যেখানে ২০০৮-০৯ সালে তা ছিল ৯.১ শতাংশ।”

প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সময় কংগ্রেস, আইইউএমএল এবং ডিএমকে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে। বিরোধী দলগুলির পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের হাউসে বসে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার ধৈর্য নেই। পরিবর্তে তারা পালিয়ে যায়।”

নির্মলা সীতারামণ
দেশে বেকারত্বও নেই, মূল্যবৃদ্ধিও নেই, বিরোধীরা দেশবাসীকে ভুল পথে চালিত করছে - প্রধানমন্ত্রী

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in