

খোলা জায়গায় মুসলিমদের নমাজ পড়া আর সহ্য করা হবে না। শুক্রবার কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার। গুরগাঁওয়ের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়ে ২০১৮ সালে সরকারের তরফ থেকে জারি করা চুক্তিপত্রও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে খোলা জায়গায় নমাজ পড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন মনোহর লাল খট্টার। বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রার্থনা করার জন্য পূর্বে যে জায়গাগুলো নির্ধারিত ছিল, সেগুলো সব বাতিল করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এখন সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটবে, যা জনগণের সমস্ত অধিকার বজায় রাখবে এবং কোনো বলপূর্বক দখল হবে না তা নিশ্চিত করবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গুরুগাঁওয়ের একটি খোলা জায়গায় মুসলিম সমাজের নমাজ পড়ার বিরোধিতা করছেন হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। যদিও সরকারের তরফ থেকেই ২০১৮ সালে নমাজ পড়ার জন্য এই জায়গা নির্ধারিত করা হয়েছিল। বিগত কয়েক সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন কারণে জায়গা দখল করে মুসলিমদের নমাজ পড়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম সমাজ। তারপরই এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গুরুগাঁও প্রশাসন এই বিষয়ে একটি স্থায়ী-সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান বের করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত খোলা জায়গায় নমাজ পড়া যাবে না।
বিবৃতি জারির কিছুক্ষণ পর সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেউ উপাসনালয়ে প্রার্থনা করলে আমাদের তাতে কোনো সমস্যা নেই। উপাসনালয়গুলো সেই উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে। তবে খোলা জায়গায় এগুলো করা একদমই উচিত নয়। খোলা জায়গায় নমাজ পড়ার প্রথা আমরা আর সহ্য করবো না।"
-With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন