‘আমার নাম সাভারকর নয়, ক্ষমা চাইব না’ - সাংসদ পদ খারিজের পর মোদীকে তীব্র আক্রমণ রাহুলের

রাহুলের কথায়, 'আমি স্পিকারের কাছে গিয়ে সরাসরি বলি যে, কেন আমায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না? আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু স্পিকার খালি হাসতেই থাকে।'
রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধীফাইল চিত্র - সংগৃহীত

লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার একদিন পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার, সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী আমার পরবর্তী বক্তব্য নিয়ে ভীত, তাই আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। আমি তাঁর চোখে ভয় দেখেছি। সে কারণেই তারা (বিজেপি) চায় না আমি সংসদে কথা বলি।'

লন্ডনে তাঁর মন্তব্য এবং মানহানির মামলার বিচারে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় ক্ষমা চাইতে বলা হলে, কেন তিনি তা চাননি, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে সাভারকরের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস নেতা বলেন, "আমার নাম সাভারকর নয়। আমি গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না।"

সাংসদ পদ অযোগ্য ঘোষণা নিয়ে তিনি ভীত নন। এই দাবি করে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমি সত্য এবং ভারতের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি এবং আমি তা করতেই থাকব। কিছুতেই ভয় পাই না। তাঁরা (বিজেপি) যদি ভেবে থাকেন আমার সাংসদ পদ খারিজ করে, আজীবন জেলে পাঠিয়ে আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন, তা হবে না। আমার সেরকম কোনও ইতিহাস নেই। আমি লড়াই চালিয়ে যাব।'

রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমার কণ্ঠকে দমন করা হচ্ছে।' তিনি দাবি করেন, চারজন মন্ত্রীর মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে স্পিকারের কাছে বলতে গেলেই, তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে।

রাহুলের কথায়, 'আমি স্পিকারের কাছে গিয়ে সরাসরি বলি যে, কেন আমায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না? আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু স্পিকার খালি হাসতেই থাকে।' সঙ্গে তিনি জানান, 'ভারতের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নেমে আসছে।'

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানির মধ্যে সম্পর্ক নতুন নয়। তাই, মোদী-আদানির সম্পর্ক নিয়ে আমি প্রশ্ন করা বন্ধ করব না। ২০ হাজার কোটি টাকা কার? আমি জিজ্ঞাসা করতেই থাকব। আমি ওঁদের ভয় পাই না।'

রাহুল বলেন, 'আমি একটাই প্রশ্ন করেছিলাম। আদানিজির শেল কোম্পানি রয়েছে। সেখানে কেউ ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। আদানিজির টাকা নেই। আদানিজির পরিকাঠামোর ব্যবসা। পয়সা অন্য কারও। প্রশ্ন একটাই, ২০ হাজার কোটি টাকা কার? এই প্রশ্নটাই করেছিলাম আমি।'

প্রসঙ্গত, 'মোদী পদবি' নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত এবং দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে সুরাতের একটি আদালত। একইসঙ্গে, উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য ৩০ দিনের সময়সীমাও দেয় আদালয়। কিন্তু, আদালতের সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, তড়িঘড়ি করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে লোকসভার সচিবালয়। যা নিয়ে এখন বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

রাহুল গান্ধী
'ভারতের মূল্যবোধের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা', রাহুলের MP পদ খারিজে মোদীকে খোঁচা মার্কিন আইন প্রণেতার

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in