
কেন্দ্রীয় বাজেটে এবার বিহারের জন্য ঢালাও ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মাখনা বোর্ড থেকে শুরু করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা, একাধিক নতুন বিমানবন্দর তৈরি, পাটনা আইআইটি-র সম্প্রসারণ সহ একাধিক বিষয়ে বরাদ্দের কথা এদিন বাজেটে ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন অর্থমন্ত্রীর পোশাকেও ছিল বিহারের ছোঁয়া।
চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে আগে শরিকদের চাপের কথা মাথায় রেখেই সেরাজ্যকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মোদী সরকারের। বিহারে মাখনা চাষিদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে এদিন সীতারমণ জানান, ‘বিহারের মানুষের জন্য মাখনা বোর্ড তৈরি হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য, রাজ্যে মাখনার উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা’। যদিও ইতিমধ্যেই পরিবেশবিদদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, জলাভূমিগুলিতে মাখনা চাষের ফলে জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, “আইআইটিকে বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসাবে পাটনায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পরিকাঠামো বাড়ানো হবে। সেই উদ্দেশ্যে আরও সাড়ে ৬ হাজার পড়ুয়ার থাকার জন্য পাঁচটি আইআইটিতে অতিরিক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হবে”।
এছাড়া, গরীবদের উন্নতির জন্য জোর দিয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে। এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি এন্টারপ্রোনিউশিপ এন্ড ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠা করা হবে বিহারে। যাতে ইস্টার্ন রিজিয়নে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের প্রসার ঘটানো যায়। অর্থমন্ত্রী জানান, “এই উদ্যোগ দু’টি সুবিধা দেবে। এক, উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যোগ করে কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি করবে এবং দুই, এটি অঞ্চলের যুবকদের মধ্যে দক্ষতা, উদ্যোক্তা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেবে”।
বিহারের শিল্প ও পরিষেবা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর এবং বিহতায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণের কথাও বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
নির্মলা সীতারমণের দাবি, “আমাদের দেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। গত ১০ বছরে পরিকাঠামোগত সংস্কারে আমাদের দেশ গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। ভারতের সামর্থ্য এবং এবং সম্ভাবনার প্রতি আস্থা এই সময়ের মধ্যেই বেড়েছে। আগামী ৫ বছরে এটা অনুধাবন করা যাবে যে ‘সবকা বিকাশ’ হচ্ছে”।
এদিন বাজেট বক্তৃতা পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রীর পরণে ছিল মধুবনি আর্ট প্রিন্টের একটি শাড়ি। মধুবনি শিল্পের উৎপত্তি বিহারের মিথিলা অঞ্চলে। শাড়িটি পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত দুলারি দেবী বিহার সফরের সময় নির্মলাকে উপহার দিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন