Waqf: ওয়াকফ আইন নিয়ে ৭০-র বেশি মামলা! বাছাই ৫টি আবেদনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে, দেখুন একনজরে

People's Reporter: আইনের সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে ৭০টির বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে থেকে মাত্র ৫টি আর্জি শোনা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে দায়ের হওয়া ৭০টিরও বেশি আবেদনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার পাঁচটি আবেদনকে ‘প্রধান মামলা’ হিসেবে বেছে নেবার কথা জানিয়েছিল। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি পি.ভি. সঞ্জয় কুমার এবং কে.ভি. বিশ্বনাথন-এর বেঞ্চ জানায়—"এত সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়।" তাই আবেদনকারীরা নিজেরাই পাঁচটি পিটিশন বাছাই করে নিক। সেই পিটিশনগুলির ভিত্তিতেই পরবর্তী শুনানি হবে।

দেশজুড়ে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে ৭০টির বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে থেকে মাত্র ৫টি আর্জি শোনা হবে বলেই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

আদালত নির্দেশ দেয় যে আবেদনকারীরা পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করে পাঁচটি আবেদন নির্বাচন করুন। ওই ৫ আবেদনেরই শুনানি হবে। আগামী ৫ মে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।

জানা গেছে যে নির্বাচিত প্রধান পাঁচ আবেদনকারী হলেন:

১. আরশাদ মাদানী

২. মহম্মদ জামিল মার্চেন্ট

৩. মহম্মদ ফজলুর রহিম

৪. শেখ নূরুল হাসান

৫. আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

যদিও এই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অন্য আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচিত মুখ। যেমন সিপিআইএম-এর পক্ষে মহম্মদ সেলিম, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আরজেডির মনোজ ঝা, কংগ্রেসের ইমরান প্রতাপগড়ি, সমাজবাদী পার্টির জিয়াউর রহমান বারক।

এই মামলাগুলিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা, যেমন কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি, রাজীব ধাওয়ান ও সালমান খুরশিদ। নির্বাচিত আবেদনকারীদের মধ্যে অন্যতম আসাদউদ্দিন ওয়াইসি নিজেও একজন আইনজীবী, তবে তাঁর হয়ে আইনি লড়াই লড়ছেন নিজাম পাশা।

আদালত মামলার সমন্বয় করার জন্য তিনজন নোডাল আইনজীবীও নিযুক্ত করেছে। আবেদনকারীদের পক্ষে এজাজ আহমেদ, সরকারের পক্ষে কানু আগরওয়াল এবং মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষে বিষ্ণু শঙ্কর জৈন।

উল্লেখ্য, এই আইনের বিরুদ্ধে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও আবেদন জমা পড়েছে। যেমন গুরগাঁওয়ের গুরুদ্বার সিং সভার সভাপতি দয়া সিং অভিযোগ করেছেন যে আইনটি শিখ ধর্মের দানের রীতিকে লঙ্ঘন করছে।

ছবি প্রতীকী
UP: বিয়ে করতে যাওয়ার পথে 'উচ্চবর্ণে'র হাতে আক্রান্ত দলিত বর! দায়ের FIR
ছবি প্রতীকী
বাবা-মায়ের অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলে মিলবে না পুলিশি নিরাপত্তা! মন্তব্য এলাহবাদ হাইকোর্টের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in