
বৈশাখের দাবদাহে স্বস্তির খবর শোনাল মৌসম ভবন। আইএমডি জানিয়েছে, চলতি বছর ২৭ মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে পারে কেরালায়। সাধারণত ১ জুন বর্ষা প্রবেশ করে কেরালায়। কিন্তু এবার তা এগিয়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০০৯ সালে ২৩ মে বর্ষা প্রবেশ করেছিল দেশে।
কেরালায় মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করার পরেই দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষার ঘোষণা হয়। ৮ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সমগ্র অংশে বর্ষা প্রবেশ করে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বিদায় নিতে শুরু করে বর্ষা এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে গোটা দেশ থেকে সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়।
গত বছর ৩০ মে কেরালায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছিল। ২০২৩ সালে ৪ জুন প্রবেশ করেছিল। তার আগে ২০২২ সালে ২৯ মে এবং ২০২১ সালে ৩ জুন বর্ষা প্রবেশ করেছিল। এর আগে ২০২০ সালে ১ জুন, ২০১৯ সালে ৮ জুন এবং ২০১৮ সালে ২৯ মে দেশে প্রথম বর্ষা প্রবেশ করেছিল।
বর্ষার মরশুম শুরুর তারিখ এবং দেশে মোট বৃষ্টিপাতের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্কে নেই বলে জানিয়েছেন আইএমডি-এর এক আধিকারিক। তাঁর কথায়, “কেরালায় বর্ষা শুরুর তারিখ আগে আসার মানে এই নয় যে এটি দেশের অন্যান্য অংশেও সেই অনুযায়ী বৃষ্টিপাত ঘটাবে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে৷ আঞ্চলিক ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্যেরও বিশেষ প্রভাব থাকে”।
এর আগে এপ্রিল মাসে আইএমডি জানিয়েছিল, এই বছর বর্ষার মরশুমে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সচিব এম রবিচন্দ্রন বলেছিলেন, “জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে, বর্ষা মরশুমে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। ১০৫ শতাংশ বৃষ্টিপাত অনুমান করা হয়েছে”।
আইএমডি-এর তথ্য অনুসারে, গত ৫০ বছরের হিসেবকে বিশ্লেষণ করে বৃষ্টির স্বাভাবিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে যে পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে বলে অনুমান করা হয়ে থাকে তার ৯৬ শতাংশ থেকে ১০৪ শতাংশের মধ্যে বৃষ্টিপাতকে 'স্বাভাবিক' বলে মনে করা হয়।
৯০ শতাংশের কম বৃষ্টিপাতকে 'অভাব' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, ৯০ শতাংশ থেকে ৯৫ শতাংশকে 'স্বাভাবিকের থেকে কম' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০৫ শতাংশ থেকে ১১০ শতাংশের মধ্যে হলে 'স্বাভাবিকের বেশি' হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ১১০ শতাংশের বেশি হলে 'অতিরিক্ত' বৃষ্টিপাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন