
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মধ্যে ফের অসামরিক মহড়া বা মক ড্রিলের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। জানা গেছে, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মক ড্রিল হবে গুজরাট, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে। এই চার রাজ্যই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী।
এর আগে গত ৭ মে মক ড্রিল করা হয় দেশের বহু জেলায়। ছাত্র ছাত্রীদেরও এই মহড়ার অংশ করা হয়। তার আগের দিন গভীর রাতে অর্থাৎ ৬ মে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে একাধিক বার হামলা চালায় পাকিস্তান। যদিও পাল্টা পাকিস্তানের হামলার জবাব দেয় ভারত। চারদিন সামরিক সংঘর্ষের পর অবশেষ ১০ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়। এরই মধ্যে ফের বৃহস্পতিবার মক ড্রিলের ঘোষণা করল সরকার।
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন এই চার রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ড্রোন হামলা, ব্ল্যাক আউটের মতো ঘটনা দেখেছে সাধারণ মানুষ। ঘর বাড়ি নষ্ট হয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে সাধারণ মানুষের। সংঘর্ষ বিরতি হলেও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও উন্নতি হয়নি। এই আবহে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখতেই এই মহড়া বলে মনে করছেন অনেকে।
শুধু নাগরিক সুরক্ষার জন্য নয়। বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্দেশ্যেও এই আয়োজন। ভূমিকম্প, বন্যা, রাসায়নিক বিপর্যয়, সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে, তাদের বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে ‘মক ড্রিল’ আয়োজন করা হয়।
এর আগে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সারা দেশ জুড়ে নাগরিক সুরক্ষার জন্য করা হয়েছিল "মক ড্রিল"। সেটাই ছিল প্রথম বার। তারপর থেকে আর কখনও মক ড্রিল হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন