

স্বাধীন ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই পটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৩১ আগস্ট দেশজুড়ে পালিত হল জাতীয় একতা দিবস। গুজরাতের কেওয়াড়িয়াতে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি–র সামনে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী প্যারেড, যেখানে অংশ নেন BSF, CRPF, CISF, ITBP, SSB-সহ বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বাহিনী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সর্দার প্যাটেলের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে এদিন শুধু ঐক্যের বার্তা নয়, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কবাণীও শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আজ দেশের ঐক্য গভীর সংকটে। অনুপ্রবেশকারীদের কারণে বহু জায়গায় দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তারা শুধু সমাজের গঠন নয়, দেশের নিরাপত্তা ও ঐক্যকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে এই ইস্যুতে চোখ বন্ধ করে আছে।”
মোদি বলেন, “দেশবাসীকে বুঝতে হবে—এটা শুধু সীমান্তের সমস্যা নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত বিষয়। অনুপ্রবেশকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে দেশের ডেমোগ্রাফি বদলে দিয়েছে। সরকার প্রথমবার এই ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, কারণ দেশের স্বার্থের ওপরে কোনও ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থ হতে পারে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যারা অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষায় রাজনৈতিক লড়াই করছে, তারা দেশকে আবার বিভক্ত করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু দেশবাসী একসঙ্গে প্রতিজ্ঞা করুক—আমরা ভারতের মাটি থেকে প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে বের করব, এবং দেশের ঐক্য অটুট রাখব।”
এদিন, রাজধানী দিল্লিতেও পালিত হয় জাতীয় একতা দিবসের কর্মসূচি। রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সর্দার প্যাটেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। অমিত শাহ বলেন, “সর্দার প্যাটেল খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত দেশকে ঐক্যের বন্ধনে বেঁধেছিলেন। আজ তাঁর চিন্তাধারা আরও প্রাসঙ্গিক, কারণ ঐক্য ও নিরাপত্তা দুটোই রক্ষা করা আজ সময়ের দাবি।”
একতা দিবসের অঙ্গ হিসেবে শাহ সূচনা করেন ‘রান ফর ইউনিটি’ ম্যারাথনের, যা শুরু হয় ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম থেকে। দেশজুড়ে সরকারি দপ্তর, স্কুল-কলেজ ও প্রশাসনিক ভবনে পালিত হয় ঐক্যের শপথ অনুষ্ঠান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন