একদিকে কংগ্রেস, অন্যদিকে তৃণমূল। আর মাঝখানে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম আইপ্যাক। গত কয়েকদিনে দেশীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নজর কেড়েছে সবারই। খুব শীঘ্রই তিনি ১০ জনপথের পথিক হতে চলেছেন। এমন জল্পনাই চলছে দেশজুড়ে।
বঙ্গে তৃণমূলকে ভোট বৈতরণী পার করানোর পিছনে সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করেছে পিকে ও আইপ্যাক। তাই সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক কংগ্রেসের সঙ্গে পিকের যুক্ত হওয়ার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন দেশীয় রাজনীতি থেকে কখনও কংগ্রেস মুছে যেতে পারে না।
এসবের জেরে এদিকে অস্বস্তি বেড়েছে মেঘালয় তৃণমূলে। কারণ, মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রচার ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে আইপ্যাক। এই প্রশান্তের ডাকে সাড়া দিয়েই কংগ্রেস ছেড়ে ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল সাংমা।
শোনা যাচ্ছে, পরের বছর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে জমি মজবুত করার ভার দেওয়া হচ্ছে প্রশান্তকেই। মেঘালয়েও নির্বাচন আছে। সম্ভবত পিকের অধীনে আগামী লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ করছে কংগ্রেস।
মেঘালয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে কি না— তা ঠিক করবে হাইকমান্ড। তার পরেই আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মেঘালয় তৃণমূলের অবশ্য আপত্তি আছে এই ব্যাপারে। একই সঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জন্য কাজ করতে পারে না প্রশান্তের দল। কারণ, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।
এদিকে, মেঘালয়ের শাসক দল এনপিপির দাবি, তৃণমূলের চার বিধায়ক-সহ রাজ্যের ১১ জন বিধায়ক এনপিপিতে যোগ দিতে চান। পরের বছর তাঁরা এনপিপি-র হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তৃণমূল পাল্টা জানিয়েছে, কেউ দল ছাড়ছেন না। এনপিপি ভিত্তিহীন কথা বলছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।