Haryana: মন্দির চত্বরের পাশে রাখা যাবে না মাংসের দোকান, লাইসেন্স বাতিলের দাবি হিন্দু সমিতির

সূত্রের খবর, গুরুগ্রামে ১১৯টি লাইসেন্সকৃত মাংসের দোকান আছে। এবং ১৫০০টিরও বেশি অবৈধ দোকান রয়েছে। যাদের বছরের পর বছর নতুন লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী

শুক্রবার হরিয়ানার এক দক্ষিণপন্থী সংগঠন দাবি করেছে যে, শহরে নতুন কোনও মাংসের দোকান করার জন্য গুরুগ্রাম পৌর কর্পোরেশনের আর লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর -এর কাছে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি একটি স্মারকলিপি পেশ করেছে। সেই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে যে, হরিয়ানা সরকারের নতুন করে মাংসের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া উচিৎ হবে না। লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া অবিলম্বে বাতিল করা হোক।

হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির দাবি, খট্টর নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে গুরুগ্রামের "পবিত্র" শহরটিতে মাংস বিক্রির জন্য নতুন কোনও লাইসেন্স দেওয়া হবে না। কারণ এটি শীতলা মাতার মন্দিরের আবাসস্থল। নতুন লাইসেন্স চাওয়া ১২৬টি আবেদনকে বাতিল করার দাবি করেছে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। তবে গুরুগ্রাম পুর কর্তৃপক্ষ নতুন লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করায় বেজায় চটেছে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি।

সমিতির পক্ষ থেকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীকে যে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, "২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, শীতলা মাতা এবং গুরু দ্রোণাচার্যের মন্দিরের আশেপাশে কোনও তাজা মাংস বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে না। আমরা চাই এই আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করা হোক। এছাড়াও শীতলা মন্দিরের আশেপাশে ১০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বর্তমানে যে সকল মাংসের দোকানগুলি আছে সেগুলি সরিয়ে নেওয়া হোক। পাশাপাশি সেখানে থাকা সমস্ত অবৈধ দোকান সরিয়ে ফেলা উচিত।"

সূত্রের খবর, গুরুগ্রামে ১১৯টি লাইসেন্সকৃত মাংসের দোকান আছে। এবং ১৫০০টিরও বেশি অবৈধ দোকান রয়েছে। মূলত বছরের পর বছর নতুন লাইসেন্স না দেওয়ায় লাইসেন্সবিহীন দোকানের সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সমিতির সদস্যদের প্রশ্ন, "যখন অন্যান্য পবিত্র শহরগুলির জন্য নিয়ম আছে তখন গুরুগ্রামের ক্ষেত্রে কেন নিয়ম আলাদা হবে?" যেহেতু শীতলা মাতা মন্দির হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মানুষের জন্য একটি শ্রদ্ধেয় উপাসনালয় বলে পরিচিত, সেই জন্যই হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি মন্দিরের আশেপাশের অঞ্চলটিতে যাতে কোনও মাংসের দোকান না রাখা হয় তার দাবি জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির চেয়ারম্যান ড: ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, "লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকানগুলির জন্য একটি পৃথক বাজার বা এলাকা নির্ধারণ করা উচিত। এর পাশাপাশি অবৈধ দোকানগুলি বন্ধ করা উচিত। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কথা ঘোষণা করেছিলেন। আমরা লাইসেন্স প্রদানের কাজটি মেনে নেব না।"

ছবি - প্রতীকী
Karnataka: প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরেই বেঙ্গালুরুতে রাস্তার বেহাল অবস্থা, তদন্তের নির্দেশ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in