Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মণিপুরের কুকি সম্প্রদায়ের

গত ৩ মে থেকে মণিপুরে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯৮ জন। আহত হয়েছেন ৩১০ জন মানুষ। বর্তমানে রাজ্যের ২৭২ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ৩৭,৪৫০ জন।
অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কুকি সম্প্রদায়ের
অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কুকি সম্প্রদায়ের
Published on

মণিপুরে জাতি-দাঙ্গার আঁচ আগেই পৌঁছেছিল রাজধানী নয়াদিল্লিতে। এবার তা পৌঁছাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ি পর্যন্ত।

উত্তর-পূর্ব রাজ্যে চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান কুকি সম্প্রদায়ের (Kuki community) মানুষেরা। 'অবিলম্বে মণিপুরে শান্তি চাই', 'ট্রাইবাল লাইভস ম্যাটার', 'সেভ কুকি লাইভস' লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৪ জনকে বৈঠকের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকিদের পাঠানো হয় যন্তর মন্তরে।

গত ৩ মে থেকে জাতি-দাঙ্গার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯৮ জন। আহত হয়েছেন ৩১০ জন মানুষ। বর্তমানে রাজ্যের ২৭২ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ৩৭,৪৫০ জন।

চলতি মাসের শুরুতেই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। অবিলম্বে রাজ্যে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানান তিনি। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। উল্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য ছাড়ার পরে নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর।

মণিপুরে হাই কোর্টের এক নির্দেশকে সামনে রেখেই ৩ মে, মণিপুরে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা যাচ্ছে, নিজেদের তফশিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে 'মেইতেই সম্প্রদায়' (Meitei/Meetei)। আবার, 'মেইতে সম্প্রদায়'-এর দাবির বিরোধিতা করে আসছে কুকি-সহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেইতেরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।

অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কুকি সম্প্রদায়ের
কুস্তি ফেডারেশনের মহিলা প্রধান চাই, ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে ৫ দাবি বজরং-সাক্ষীদের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in