Manipur Violence: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে বিজেপি বিধায়ককে গণপিটুনি, অবস্থা আশঙ্কাজনক

অন্যদিকে মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিও করা হয়েছে।
জনতার রোষের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক ভাংজাগিন ভালতে
জনতার রোষের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক ভাংজাগিন ভালতে
Published on

যত সময় গড়াচ্ছে মণিপুরের পরিস্থিতি তত খারাপ হচ্ছে। এবার জনতার রোষের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক ভাংজাগিন ভালতে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে ফেরার সময় উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় তাঁর উপর। বিধায়কের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের রিমস রোডে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ওই বিধায়ক। বৈঠক শেষে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। হঠাৎ একদল উত্তেজিত জনতা তাঁর উপর আক্রমণ করে। ব্যাপক মারধর করা হয় বিজেপি বিধায়ককে। বিধায়কের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

দলীয় নেতৃত্বের দাবি, ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিধায়কের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিমানে দিল্লিও নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

অন্যদিকে মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিও করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৃহস্পতিবার বলেন, "মণিপুর জ্বলছে। বিজেপি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে এবং মণিপুরের মতো সুন্দর রাজ্যের শান্তি নষ্ট করেছে,"। এছাড়া মণিপুরে 'শুট অ্যাট সাইট' ওর্ডার নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেন, 'ব্রিটিশ সরকারের মতোই একমাত্র মোদী সরকারই পারে এই ধরণের নির্দেশ দিতে। কারণ ওরা বুঝতে পেরেছে মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।'

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত অথবা তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। মণিপুরের সরকারকে সরিয়ে অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত।

মণিপুরে হাই কোর্টের এক নির্দেশকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে এই বিক্ষোভ। জানা যাচ্ছে, নিজেদের তফশিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে 'মেইতেই সম্প্রদায়' (Meitei/Meetei)। আবার, 'মেইতে সম্প্রদায়'-এর দাবির বিরোধিতা করে আসছে কুকি-সহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেইতেরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে। এ নিয়ে এতদিন চাপা উত্তেজনা ছিল।

এরপরেও, মেইতেইদের দাবিকে বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় মণিপুর হাইকোর্ট। তারপরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়।

জনতার রোষের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক ভাংজাগিন ভালতে
"আমার রাজ্য জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন", মোদী-শাহর কাছে আর্জি মেরি কমের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in