

বুধবার মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে চুরাচাঁদপুরের তোরবুং এলাকায় আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল মেটেই জাতিকে উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে। সেই আন্দোলনের সময় ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলস মোতায়েন করা হয়। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন দেশের বক্সিং গ্রেট মেরি কম।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ট্যাগ করে হিংসার ছবি ট্যুইটে শেয়ার করেছেন মেরি। সেখানে তিনি লিখেছেন, "আমার রাজ্য মণিপুর জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন।"
ইম্ফল উপত্যকায় আধিপত্যকারী অ-উপজাতি মেইতিদের দাবির প্রতিবাদে চুরাচাঁদপুর জেলার তোরবুং এলাকায় অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম) ডাকা 'উপজাতি সংহতি মার্চ'-এর সময় বুধবার সহিংসতা শুরু হয়। র্যালিতে হাজার হাজার আন্দোলোনকারী অংশ নিয়েছিলেন, এই সময় উপজাতীয় এবং অ-উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এটি আরও অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার।
সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলস মোতায়েন করা হয়েছিল রাতে। রাজ্য পুলিসের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী আজ সকালের মধ্যে হিংসার ঘটনা বন্ধ করতে সক্ষম হয় বলে এক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত, হিংসা কবলিত এলাকা থেকে সাড়ে ৭ হাজার জনকে উদ্ধার করেছে বাহিনী এবং আশ্রয় দিয়েছে। তিনি বলেন, আরও লোককে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন