
বেঙ্গালুরুতে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ব্যরাথি বাসভরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম শিবপ্রকাশ ওরফে বিকলু শিবা। পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুতে হালাসুরু হ্রদের কাছে নিজের বাড়ির সামনেই খুন করা হয় শিবপ্রকাশকে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নিজের বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শিবপ্রকাশ। আচমকা একদল দুষ্কৃতি একটি গাড়িতে করে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই শিবপ্রকাশের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বেঙ্গালুরু পূর্ব বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার রমেশ বানোথ এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ডি দেবরাজ ঘটনাস্থলে যান।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ বিজেপি বিধায়ক এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ব্যরাথি বাসবরাজের নাম রয়েছে। নিহত শিবপ্রকাশের মা বাসবরাজের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর অভিযোগ, বাসবরাজই এই হত্যাকাণ্ডে মদত দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন মাস আগে বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে বাসবরাজ এবং তাঁর এক সহযোগীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন শিবপ্রকাশ। অভিযোগ ছিল, প্রাক্তন মন্ত্রী, তাঁর সহযোগী জগদীশ এবং মন্ত্রীর ভাগ্নে মিলে শিবপ্রকাশের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন। সম্পত্তি তাঁদের হস্তান্তর না করলে তাঁকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে শিবপ্রকাশ লিখেছিলেন, "আমার বিরুদ্ধে অবৈধ কার্যকলাপের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছেন বাসবরাজ ও তাঁর সহযোগীরা, যাতে আমি জমির উন্নতি বা ব্যবহার না করতে পারি। বাজারমূল্যের অনেক কম দামে তাঁদের কাছে আমার সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য আমাকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন"।
তিনি চিঠিতে আরও লিখেছিলেন, "রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে, তাঁরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে সুবিধা আদায় করছে, যাতে আমার মতো জমির মালিকদের অভিযোগ উপেক্ষা করা যায়। যার ফলে তাঁরা সহজে জমি দখল করতে পারে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারী কর্মকর্তাদের উপরও চাপ প্রয়োগ করেছে। ফলে আমাদের পক্ষে আইনি মাধ্যমে প্রতিকার চাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে"।
শিবপ্রকাশ নিজের এবং তাঁর পরিবারের ক্ষতি আশঙ্কা করে চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর কিছু হলে বিধায়ক, জগদীশ এবং তাদের সহযোগীরা দায়ী থাকবেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন