

ইউপিএ কোথায়? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের কটাক্ষপূর্ণ জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন সারা দেশে মমতা, মমতা করে চিৎকার করবে। উনি কি জানেন না ইউপিএ কি ? আমার মনে হয়, উনি পাগলামি করছেন।' তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পাওয়ারের বৈঠক পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তৃণমূলনেত্রী আসলে বিজেপির অক্সিজেন সাপ্লায়ার বলেও তোপ দাগেন তিনি।
অধীর বলেন, কারা বিদেশে টাকা রাখতে পারে, সেটা খুবই স্পষ্ট। কংগ্রেস নেতারা হয়তো কোনও কারণে বিদেশ গিয়েছিলেন। যারা বিদেশে টাকা রাখে, তারা যাতে মোদির চোখে ধরা না পড়ে, তাই মোদির দালালি করছে তৃণমূল। মোদি-বিজেপির সুরেই কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদেশি ছাপ মারতেই এইসব কথা আসছে। ২০১১ সালে ইউপিএ-র দয়াতেই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। তখন ইউপিএ-তে ছটা মন্ত্রী ছিল। তখন কিন্তু কংগ্রেসকে ভালো লেগেছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলছেন, ভোট এখনও অনেক দেরি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনই প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে ভোট ভাগাভাগি করেছেন মোদী- মমতা মিলেমিশে। আর গোটা দেশে যখন বিজেপি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের অক্সিজেন জোগাতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির অক্সিজেন সাপ্লায়ার। আজ ওঁর শক্তিবৃদ্ধির কারণ মোদিজি ওঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শরদ পাওয়ারের প্রশংসা করে বলেন, তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। উনি একজন বর্ষীয়ান নেতা। আমরা শ্রদ্ধা করি তাঁকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন