শুধু কংগ্রেসের সভাপতি নয়, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন মল্লিকার্জুন খড়গে। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত এই দায়িত্ব তিনি সামলাতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করার আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন খড়গে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস। এদিকে, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে সময়ও নেই। তাই আপাতত দলীয় সভাপতিকেই ওই পদে রেখে দেবে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
আর, মল্লিকার্জুন খড়গে যদি দুটি পদে আসীন হন, তাহলে রাহুল গান্ধীর 'এক ব্যক্তি এক পদ' ঘোষণা অনেকটা মূল্যহীন হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কেননা, গত সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আকড়ে কংগ্রেসের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন অশোক গেহলট। কিন্তু, সেইসময় রাহুল গান্ধীর স্পষ্ট জানান, উদয়পুর অধিবেশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দলে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি মানা হবে।
সূত্রের খবর, আজ (শনিবার) শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির ‘কৌশল নির্ধারণ গোষ্ঠী’র একটি বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। রাজ্যসভা থেকে ডাক পেয়েছেন শুধুমাত্র মল্লিকার্জুন খড়গে, জয়রাম রমেশ এবং কেসি বেনুগোপাল। খাড়গের বদলে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে নাম শোনা যাচ্ছিল দিগ্বিজয় সিং এবং পি চিদম্বরমের। তাঁদের কাউকেই ডাকেননি সোনিয়া গান্ধী।
শীতকালীন অধিবেশনের পর পুরো সংসদীয় দল ঢেলে সাজাতে পারে কংগ্রেস।
জানা যাচ্ছে, মল্লিকার্জুন খড়গে ছাড়াও কংগ্রেস নীতি অনুযায়ী আরও দুজন 'ব্যতিক্রম' রয়েছেন। যাঁরা একসঙ্গে দুটি পদে আসীন আছেন। এক, অধীররঞ্জন চৌধুরী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে আছেন তিনি। আর, দ্বিতীয়জন হলেন- জয়রাম রমেশ। রাজ্যসভায় দলের চিফ হুইপের পদে থাকার পাশাপাশি দলের যোগাযোগ বিষয়ক কমিটির প্রধান পদে রয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।