মহারাষ্ট্রে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও, কংগ্রেস, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-র মহাবিকাশ আঘাদি জোট দাবি করেছে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ১৮টি জেলায় অনুষ্ঠিত গ্রাম পঞ্চায়েত অনুষ্ঠানে তাদের ফলাফল যথেষ্ট ভালো হয়েছে।
১,১৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১,০৭৯টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিজয়ী প্রার্থীদের নির্বাচনী ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মহাবিকাশ আঘাদি জোটের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা ক্ষমতাসীন বিজেপি-বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা জোটকে টেক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পর বিজেপির দাবি, তারা ২৩০টিরও বেশি আসন থেকে জয়লাভ করেছে। যেখানে ৩৪০টি আসনের মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধের বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনা পেয়েছে প্রায় ১১০টি আসন। অন্যদিকে, এনসিপি ১৫৫টি, শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) ১৫০টি এবং কংগ্রেস ১৪০টি আসন পেয়েছে বলে দাবি করেছে। বাকি আসনে জয়লাভ করেছে নির্দল প্রার্থীরা।
এছাড়াও, ৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাকি ১,০৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার। সংবাদসংস্থা IANS-র কাছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা হয় না।
বিজেপির মন্তব্যের পাল্টা জবাবে এনসিপির বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ার কড়া ভাষায় প্রশ্ন করেন - "গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা হয় না, সেখানে বিজেপি কিভাবে তথাকথিত বিজয়ের পরিসংখ্যানে পৌঁছেছে বলে দাবি করছে? এই ধরণের সমস্ত দাবি মিথ্যা।"
শিন্ধের নেতৃত্বে চলা বিদ্রোহী শিবসেনা গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে 'গদ্দারদের' উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া গেছে। কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র অতুল লন্ডের কথায়, গত কয়েক মাসে নগর পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং বর্তমানে গ্রাম পঞ্চায়েত সহ সমস্ত স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে অবিচ্ছিন্নভাবে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস।
এনসিপি মুখপাত্র মহেশ তাপসে জানান, মহাবিকাশ আঘাদি জোট এমন অঞ্চলেও তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে, যেখানে জয়লাভ করা খুব সহজ ছিল না। জোটের ফল যথেষ্ট ভালো হয়েছে এবং এনসিপি একাই পেয়েছে ১৯০টি আসন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।