'অপহরণ করা হয়েছিল' - বিদ্রোহী শিবির থেকে নাটকীয়ভাবে মুম্বাইয়ে ফিরে দাবি দুই সেনা বিধায়কের

দেশমুখ জানান, "আমাকে জোর করে সুরাট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি আজ ভোর ৩ টের সময় হোটেল থেকে পালিয়ে এসেছি। হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেইসময় পুলিশ আবার জোর করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।"
নীতিন দেশমুখ এবং উদ্ধব ঠাকরে
নীতিন দেশমুখ এবং উদ্ধব ঠাকরে ছবি সংগৃহীত
Published on

মহারাষ্ট্রে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ফের চাঞ্চল্যকর মোড়। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করলেন শিবসেনা বিধায়ক নীতিন দেশমুখ, যিনি গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে অন্যান্য বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সাথে গুজরাটের সুরাটে গিয়েছিলেন।

বুধবার বিকেলে মুম্বাইয়ে ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সাথেই আছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, "আমাকে জোর করে সুরাট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি আজ ভোর ৩ টের সময় হোটেল থেকে পালিয়ে এসেছি। হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম যে কোনো গাড়ি ধরার জন্য। সেইসময় প্রায় শতাধিক পুলিশ আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকদের বলা হয় আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। চিকিৎসকরা জোর করে আমার শরীরে কিছু একটা ইনজেক্ট করার চেষ্টা করছিলেন। খারাপ উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। আমি কোনোভাবে ওখান থেকে পালিয়ে আসি।"

এরপর এক সাংবাদিক দেশমুখকে তাঁর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, "আমি অবশ্যই উদ্ধব ঠাকরের সাথে আছি।"

নীতিন দেশমুখ ছাড়াও আরো এক বিধায়ক একনাথ শিন্দের বিক্ষুব্ধদের শিবির থেকে পালিয়ে এসেছেন। তিনি অবশ্য সুরাট ঢোকার আগেই পালাতে সক্ষম হয়েছেন। ওসমানাবাদের বিধায়ক কৈলাস পাতিলেরও দাবি, তাঁকে বলপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, গুজরাট-মহারাষ্ট্র সীমান্তের তালসারিতে পুলিশ চেক পোস্টের কাছে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। প্রায় ৫ কিমি হাঁটার পর এক বাইক আরোহীর সহায়তায় মুম্বাই ফিরেছেন তিনি বলে জানিয়েছেন পাতিল।

অন্যদিকে এই মুহূর্তে আসামের গুয়াহাটতে থাকা শিন্দে দাবি করেছেন তাঁর সাথে ৪৪ বিধায়কের সমর্থন রয়েছেন। আজ বিকেল ৫টায় একনাথ শিন্ডের সাথে কথা বলবেন উদ্ধব ঠাকরে।

-With IANS Inputs

নীতিন দেশমুখ এবং উদ্ধব ঠাকরে
Maharastra: আসামে একনাথ শিন্ধে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-সেনা জোটের সম্ভাবনা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in