

পেঁয়াজের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, বনভূমি ও কৃষি জমির অধিকার চেয়ে আবারও রাস্তায় নামল মহারাষ্ট্রের ২৫ হাজার কৃষক। ৩০ মে, মঙ্গলবার, পালঘর জেলার আটটি তহসিল থেকে জেলা কালেক্টরেট অফিস পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। অল ইন্ডিয়া কিসান সভা (AIKS)-র নেতৃত্বে এই বিশাল মিছিলে অংশ নেন আদিবাসী, মহিলা এবং যুব কৃষকরা।
জানা গেছে, মিছিল জেলা কালেক্টরেট অফিসে পৌঁছানোর পরে, কালেক্টরেট অফিসের মাঠ - প্রায় ৩ ঘণ্টা দখল করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। AIKS প্রতিনিধিরা জেলা কালেক্টরের সাক্ষাৎ করার পরে বিক্ষোভ তুলে নেন ‘বঞ্চিত’ কৃষকেরা।
গত তিন মাসের মধ্যে এটিই ছিল থানে-পালঘর জেলা থেকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল বা সমাবেশ। এর আগে গত মার্চ মাসে- AIKS-এর নেতৃত্বে ডিন্ডোরি থেকে ভাসিন্দ পর্যন্ত ‘লং মার্চ’ করেন এক হাজারের অধিক কৃষক। তারপর, ২৮ এপ্রিল AIKS-এর নেতৃত্বে আকোলে থেকে লোনি পর্যন্ত ‘লং মার্চ’-এ যোগ দেন ৮,০০০ অধিক কৃষক।
এছাড়া, গত ২৪ মে- AIDWA-এর নেতৃত্বে পালঘর কালেক্টরেটে বিশাল সমাবেশে যোগ দেন ১২,০০০-র অধিক মহিলা। আর, সেই রেশ না কাটতেই- সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ৩০ মে, AIKS-এর নেতৃত্বে পালঘরে বিক্ষোভ সমাবেশ করল ২৫,০০০-র অধিক কৃষক।
বনভূমির অধিকার, অনুপস্থিত ভূমি মালিকদের (ভারকা) জমি, মন্দির ট্রাস্টের জমি, ইনামী জমি, চারণভূমি চেয়ে AIKS-এর নেতৃত্বে গত একমাস ধরে কয়েক হাজার ফর্ম ফিলাপ করেন কৃষকেরা। এদিন সেই ফর্ম কালেক্টরের কাছে জমা দেন কৃষকেরা। এবং, আবেদনের প্রমাণপত্র হিসাবে রসিদও সংগ্রহ করেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, এদিন AIKS প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ইতিবাচক আলোচনা করেন পালঘররের জেলা কালেক্টর গোবিন্দ বোদকে (Govind Bodke)। তিনি জমির অধিকার, জল ও সেচ, MNREGA, রেশন এবং অন্যান্য বিষয়ে বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছেন। এবং, কৃষকদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পালঘরে এই বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন AIKS-এর জাতীয় সভাপতি ডাঃ অশোক ধাওয়ালে (Dr Ashok Dhawale), রাজ্য সভাপতি উমেশ দেশমুখ (Umesh Deshmukh), রাজ্য সম্পাদক ডাঃ অজিত নাওয়ালে (Dr Ajit Nawale), রাজ্য সহ-সভাপতি কিষান গুজর (Kisan Gujar), AIDWA জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম ধাওয়ালে (Mariam Dhawale), বাম বিধায়ক তথা CITU রাজ্য সম্পাদক বিনোদ বিভা নিকোলে (Vinod Bhiva Nikole), DYFI-র রাজ্য সভাপতি নানকুমরদাল প্রমুখ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন