
মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি কেলেঙ্কারি মামলায় (MUDA) লোকায়ুক্তের তদন্ত থেকে মুক্তি পেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সকল অভিযুক্তদের মুক্তি দিল লোকায়ুক্ত।
রাজ্য লোকায়ুক্ত অভিযোগকারী সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণকে জানায়, অভিযুক্ত সিদ্দারামাইয়া সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি। সেই কারণে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হল। তবে ২০১৬-২০২৪ সালের মধ্যে মুডা কর্তৃক জমিগুলির যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল সেই মামলাটি চলবে।
প্রসঙ্গত, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। স্নেহময়ী কৃষ্ণ নামের এক সমাজকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি অবৈধভাবে বিলি করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সাথে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালক জড়িতে রয়েছেন। তাঁদের দু'জনকে বাজারদরের থেকে অনেক কম মূল্যে বেআইনি ভাবে জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরই রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন। এর পর হাই কোর্টের সম্মতিতে লোকায়ুক্ত পুলিশ সিদ্দারামাইয়া ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলা সংক্রান্ত ১৪০টির বেশি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। যার বাজারমূল্য ছিল ৩০০ কোটি টাকা। ইডির ব্যাঙ্গালোর শাখা ২০০২ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-র অধীনে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। অভিযোগকারী সমাজকর্মী সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন গত ৭ অক্টোবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন