

২০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রায় প্রতিদিনই মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের জেরে মুলতবি হয়ে গিয়েছে সংসদের কাজকর্ম। এবার সেই নিয়েই ঘনিষ্ঠমহলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, সংসদে বিরোধী দল ও শাসকদলের ব্যবহার নিয়ে তিনি যথেষ্ট ব্যথিত। যত দিন না সাংসদেরা তাঁদের মর্যাদা এবং সভার গরিমা বজায় রাখার মতো আচরণ না-করছেন, ততদিন তিনি সংসদে উপস্থিত হবেন না বলে জানা গিয়েছে।
বুধবারও সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীরা ফের মণিপুর ইস্যুতে জোরালো প্রতিবাদ দেখান। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদে এসে বিবৃতি দেওয়ার দাবিতে বিরোধী মহাজোটের এই প্রতিবাদ গত ২ সপ্তাহ ধরে লাগাতার চলে আসছে। এদিনও সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন প্রথমে দুপুর ২টো পর্যন্ত ও পরে সারাদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বুধবারই তাঁর আসনে উপস্থিত ছিলেন না স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে মণিপুর নিয়ে ক্রমাগত প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদে সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। লাগাতার মুলতবি হয়ে যাচ্ছে সংসদের কাজ। সাংসদদের আচরণে গভীর ভাবে মর্মাহত তিনি। এর জন্য সংসদে বিরোধী ও শাসক দুই গোষ্ঠীর উপরেই ক্ষুব্ধ বিড়লা। তিনি সংসদের মর্যাদা সর্বোচ্চ স্তরে বজায় রাখতে চান এবং সংসদের সদস্যদের থেকেও সেটাই আশা করেন।
বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রের তরফে দিল্লির আমলাকারীদের নিয়ন্ত্রণকারী 'ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল, ২০২৩’ পেশ করার কথা ছিল। বিতর্কিত এই বিলের নয়া সংশোধন পাশ হলে তা দিল্লির সরকারি আমলাদের বদলি ও পোস্টিং নিয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে আরও বিশেষ কিছু ক্ষমতা দেবে। তবে শুরুতেই সভার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ায় এই বিল নিয়ে কোনোরকম আলোচনা বা ভোটাভুটি হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন