
আজ হেফাজতেই থাকছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সীতাপুর জেলার PAC গেস্ট হাউসে আটক রয়েছেন তিনি। যদিও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ বাকি ধৃত নেতাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্রই নিহত কৃষকদের পরিবারের সাথে দেখা করতে লখিমপুর খেরি যাবেন তিনি। এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, লখনৌ থেকে অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস নেত্রীকে ছাড়বে না তাঁরা। লখনৌ থেকে অনুমতি আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, যতক্ষণ না নিহত কৃষকদের দাহ করা হচ্ছে, ততক্ষণ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে হেফাজত থেকে ছাড়া হবে না। আজ মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সেগুলি দাহ করা হবে।
ইতিমধ্যেই সীতাপুর ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে বহু কংগ্রেস কর্মী PAC গেস্ট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা গেস্ট হাউসের বাইরে মোমবাতি মিছিল করেন এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সমর্থনে স্লোগান দেন।
আজ ভোর ৬টা নাগাদ সীতাপুরের হরগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গতকাল লখিমপুর যাওয়ার কথা ঘোষণা করা মাত্রই লখনৌতে যেখানে ছিলেন তিনি, সেখানে পাহারা বসায় পুলিশ। তা সত্ত্বেও রাত ৩টের সময় পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি।
হরগাঁওতে তাঁর গাড়ি আটকালে পুলিশের সাথে তুমুল বচসা হয় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর। এরপর সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পিএসি গেস্ট হাউসে আনা হয়। গেস্ট হাউসের যেই রুমে তাঁকে রাখা হয়েছে, ঝাঁটা হাতে সেই রুম পরিস্কারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন বিক্ষোভরত কৃষকদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চার কৃষক, এক সাংবাদিক সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রীর ছেলে আশীষ মিশ্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন