লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে আরও একবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। এর আগেও তিনি পরপর ট্যুইট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরেই বিজেপি সাংসদ বরুণ এবং তাঁর মা মানেকা গান্ধীকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
রবিবার এক ট্যুইট বার্তায় বিজেপি সাংসদ জানান, লখিমপুর খেরির ঘটনাকে হিন্দু বনাম শিখ বিরোধ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চেষ্টা শুধু যে অনৈতিক এবং ভুয়ো তাই নয়। এই ধরণের ভুয়ো প্রচেষ্টা বিপজ্জনকও। যা পুরোনো ক্ষতকে জাগিয়ে তুলবে এবং যা একটা প্রজন্ম দীর্ঘসময় ধরে মিটিয়েছে। আমাদের কখনোই ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য দেশের ঐক্য নষ্ট করা উচিৎ নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরির ঘটনায় ৪ কৃষক, এক সাংবাদিক সহ ৮ জন নিহত হয়। যে ঘটনার পরেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ট্যুইটারে এক ভিডিও পোষ্ট করে উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদ বরুণ গান্ধী লেখেন, "এই ভিডিওটি স্ফটিকের মতো স্পষ্ট। হত্যা করে প্রতিবাদীদের চুপ করানো যাবে না। কৃষকদের নির্মল রক্ত, যা ঝরানো হয়েছে তার জবাবদিহি করতেই হবে। প্রত্যেক কৃষকের মনে উদ্ধত এবং নিষ্ঠুরতার বার্তা প্রবেশ করার আগে ন্যায়বিচার প্রদান করতে হবে।"
গত ৪ অক্টোবর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি দিয়ে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত করার এবং নিহত কৃষকদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বরুণ গান্ধী।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।