

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে গেল আশিস মিশ্রের জামিন। এর আগে লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রকে জামিন দিয়েছিলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি আশিস মিশ্রকে জামিন দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন লখিমপুর খেরির ঘটনায় মৃত কৃষকদের পরিবার। গত বছরের ৩ অক্টোবর আশিস মিশ্রের গাড়ি বিক্ষোভরত কৃষকদের চাপা দিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মিশ্রকে জামিন দেয়। যে জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি এই অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং পাল্টা একটি হলফনামায় জানায়, মিশ্রের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল। ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) সম্পূর্ণ মিথ্যা।
গত ৩০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানায় লখিমপুর হিংসা মামলার তদন্তের পর্যবেক্ষণকারী বিচারক আশীষ মিশ্রকে দেওয়া জামিন বাতিল করার সুপারিশ করেছেন এবং এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করে, "পর্যবেক্ষক বিচারকের রিপোর্ট থেকে মনে হচ্ছে যে তিনি জামিন বাতিলের সুপারিশ করেছেন৷ আপনার অবস্থান কী?"
ওইদিনই লখিমপুর খেরির ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে দাবী করেন, শীর্ষ আদালতের হয় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা উচিত বা মিশ্রকে দেওয়া জামিন বাতিল করা উচিত। দাভে বলেন, "হাইকোর্টের আদেশ সম্পূর্ণ অ-প্রয়োগের কারণে ভুগছে"।
গত বছরের নভেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারক বিচারপতি রাকেশ কুমার জৈনকে লখিমপুর খেরি হিংসার তদন্ত পর্যবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত করে। শীর্ষ আদালত ঘটনার তদন্তকারী এসআইটি পুনর্গঠন করেছে এবং আইপিএস অফিসার এস বি শিরদকারকে তার প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছে।
এই মামলায় গত বছরের ৯ অক্টোবর গ্রেফতার হন আশিস মিশ্র। ৩ অক্টোবর, ২০২১-এ, কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন সংঘর্ষে লখিমপুর খেরিতে চার কৃষক সহ আটজন নিহত হন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন