

এক দলিত মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করল কর্ণাটক পুলিশ। এদিন পুলিশ এক নাবালক সহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর তদন্তের জন্য কর্ণাটক পুলিশের সিআইডি শাখায় পাঠানো হয়েছে তাদের।
জানা গেছে, ওই ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সন্তোষ নায়ক, বয়স ১৯ বছর। অন্যজনের নাম জানা যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অন্যজন নাবালক। উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর কর্ণাটকের বেলগাভি জেলার ভান্তমুরি গ্রামে, এক ৪২ বছর বয়সী মহিলাকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে হাঁটানোর অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলার ছেলে গ্রামের এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ছেলেটির বাড়ির উপর ওপর চড়াও হয়। ছেলের মাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়। এরপর তাঁকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে অত্যাচার করা হয়। এই ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফ থেকে গাফিলতির জন্য প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করা হয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, "অন্যান্য মহিলাদের মধ্যে ভয়ের কথা কল্পনা করুন? তারা দেশে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করবেন। এমন ঘটনা মহাভারতেও ঘটেনি। দ্রৌপদীর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন, যিনি তাকে সাহায্য করতে এসেছিলেন। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে এই মহিলাকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। দুর্ভাগ্যবশত এটি দুর্যোধন ও দুশাসনদের জগত।“
এখানেই শেষ নয়, গ্রামবাসীদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্ণাটক হাইকোর্ট আরও বলে, গ্রামবাসীরা দলিত মহিলার নগ্ন হয়ে হাঁটার দৃশ্য দেখেছিল নীরবে, তাদের সকলকে জরিমানা করা উচিত। সংগৃহীত অর্থ অবশ্যই ভুক্তভোগীকে দেওয়া উচিত।
মামলাটি কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পিবি ভারালে এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারধীন রয়েছে এখন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন