আরাবল্লির পাদদেশের সবুজ বাঁচাতে ফরিদাবাদের খোরি গ্রামে ১ লাখের বেশি বাসিন্দা উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ১ মাস পরও সরকারের উদাসীনতা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।
গ্রামটিতে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি রয়েছে, যা দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থিত। সীমান্তে অবস্থিত এইসব পরিবারগুলোয় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই অবস্থায় গত এক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাইরে ইতিমধ্যেই ১০টি বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আর তা দেখেই গ্রামবাসীদের মনে নতুন করে ভয়ের সঞ্চার শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু বলতে গেলেই, প্রতিবাদ জানাতে গেলেই পুলিশি অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপ্না গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিনই প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হচ্ছে। যা স্থানীয়দের মধ্যে একতা বজায় রাখতে ও বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করছে। রাজ্য সরকার এলাকার উপর ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে। বাড়ি ছাড়ানোর জন্য ভয় দেখাতে এলাকায় বুলডোজার নিয়ে আসা হয়েছে। আন্দোলনস্থল থেকে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন, কিন্তু বাড়ি ও জীবনের স্বার্থে লড়াই চালাতে তারা ফের ফিরে আসছেন।
গত ৬ জুলাই ৫০০-র বেশি বাসিন্দা যন্তরমন্তরে জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার পরিকল্পনা করেন। আগামী কয়েকদিনও এরকম প্রতিবাদ আন্দোলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।