৬ সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে হবে গ্রাম, খোরি গ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে একাধিক শ্রমিক ও যুব সংগঠন

আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এলাকায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
খোরি গ্রামের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ
খোরি গ্রামের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ছবি- নিউজ ক্লিক
Published on

দিল্লি সীমান্তের কাছে ফরিদাবাদের খোরি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে গত সপ্তাহে হরিয়ানা পুলিশ গ্রামবাসীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংগঠন ও একাধিক ছাত্র সংগঠন গ্রামবাসীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।

মূলত গ্রামবাসীদের দাবিকে সামনে তুলে ধরে এই সমর্থনকে আরও সংগঠিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মত ৭ জুন সুপ্রিম কোর্ট ফরিদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেয় অধিগৃহীত এলাকা খালি করতে। আর উচ্ছেদ কর্মসূচি ৬ সপ্তাহর মধ্যে শেষ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই খোরি গ্রামের বাসিন্দারা গত ২০ থেকে ২৫ বছর এখানে বসবাস করছেন। তারপরেও তাদের এখান থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারীর আবহে আদালতের এমন নির্দেশে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সঙ্গে রয়েছে অর্থনৈতিক সমস্যাও।

গত সপ্তাহে গ্রামবাসীরা মহাপঞ্চায়েত ডেকে আদালতের নির্দেশের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানায়। তখনই প্রতিবাদ মিছিলের উপর লাঠিচার্জ করে ফরিদাবাদ পুলিশ। পরে জানানো হয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে জমায়েতকে বাধা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সিটুর দিল্লি ও হরিয়ানা ইউনিটের প্রতিনিধিরা ফরিদাবাদের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর পুলিশি অত্যাচারের তীব্র ধিক্কার জানান।

সঙ্গে ছিলেন, অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন এবং সর্ব কর্মচারি সঙ্ঘের প্রতিনিধিরাও। সিটু হরিয়ানার সাধারণ সম্পাদক জয় ভগবান জানিয়েছেন, খোরি গ্রামের বাসিন্দাদের উপর সরকার যে অত্যাচার করছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। অবিলম্বে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে হবে গ্রামবাসীদের জন্য। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশেই এলাকায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরাবল্লি পাহাড়ের পাদদেশের সবুজ বাঁচানোর নামে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের খোরি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৭ জুন রায়দানের পর আদালত ৬ সপ্তাহের মধ্যে হরিয়ানা সরকারের সম্মতিসূচক রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in