

কেরালায় এসএফআই কর্মী হত্যার ঘটনায় যুব কংগ্রেস মন্ডলম কমিটির সভাপতি নিখিল পাইলি সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিস। পুলিশি সূত্র অনুসারে, সোমবার ইদুক্কি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এসএফআই কর্মী ধীরজ রাজেন্দ্রনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন নিখিল পাইলি। ধীরজ রাজেন্দ্রনকে তিনিই ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। নিখিল পাইলি সহ ধৃতরা সকলেই কেএসইউ কর্মী বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইদুক্কির করিমনাল থেকে বাসে করে পালানোর চেষ্টা করার সময় নিখিল পাইলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিখিলের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছেন।
কেরালা পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, এই হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার মূল চক্রী নিখিল পাইলি।
তিনি আরও জানান, ঘটনায় গুরুতর আহত এসএফআই কর্মী ধীরজ রাজেন্দ্রনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজী হয়নি পুলিশ বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। ছাত্রদের পক্ষ থেকেও এই ধরণের কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তিনি বলেন, কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কলেজের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার পাইনাভুর গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দুই দল ছাত্রের মধ্যে কলেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এসএফআই কর্মী ধীরজ রাজেন্দ্রনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ধীরজ ওই কলেজের বি টেক কম্পিউটার সায়েন্সের ৭ম সেমেস্টারের ছাত্র ছিলেন। গতকালের ঘটনায় আরও দুই ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন