

ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বাতিলের দাবিতে গোটা দেশে সরব হল এসএফআই। বুধবার চেন্নাইতে রাজভবন ঘেরাও করা হয়। সেখানে এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস-সহ হাজারের বেশি পড়ুয়া গ্রেফতার হয়েছে।
নিট থেকে তামিলনাড়ুর ছাত্রছাত্রীদের বাদ দেওয়ার জন্য সে রাজ্যের বিধানসভায় একটি বিল পাস হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতির পাশের অপেক্ষায় রয়েছে বিলটি। এক মাসের বেশি সময় ধরে বিলটি আজও পড়ে রয়েছে রাজ্যপালের কাছে ।
এসএফআইয়ের বক্তব্য, অযৌক্তিকভাবে বিলটি আটকে রাখা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এদিন তামিলনাড়ু রাজ্য কমিটির ডাকে রাজভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। এসএফআইয়ের বক্তব্য, এটা শুধু বিল পাশের বিষয় নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আঘাত।
ময়ূখ বিশ্বাস-সহ এসএফআই নেতৃবৃন্দের দাবি, এটা মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণের পরিকল্পনা। ডাব্লিউটিও গ্যাটসের আওতায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করে আন্তর্জাতিক লগ্নিপুঁজির রাস্তা পরিষ্কার করা। নিটের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে গ্রামীণ ও প্রান্তিক অংশের পরিবারের ছেলেমেয়েদের পরিবারের ডাক্তারি পড়ার হার কমে গিয়েছে। এটি সিবিএসসি সিলেবাসের অনুসারী।
এছাড়াও এই নিটের জন্য কোচিংয়ের বাজার তৈরি হয়েছে। অর্থ শুষে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে । আশ্চর্যজনকভাবে তথাকথিত মেধাবীরা পাশ করার জন্য বছরের পর বছর কোচিং নিচ্ছেন। একাধিকবার নিতে বসছেন । কোচিং সেন্টারগুলো এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেন কোচিং না নিলে নেট পাশ করা সম্ভব হবে না।
সর্বভারতীয় প্রতিবাদের অংশ হিসাবে কলকাতার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে পুরনো ক্যাম্পাসের পাশে এদিনের পথসভার আয়োজন করে এসএফআই কলকাতা মেডিকেল আঞ্চলিক কমিটি। পথসভায় বক্তারা প্রত্যেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন