

কেরালার সিপিআইএম বিধায়কদের দেখানো পথ অনুসরণ করলেন কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা ও কংগ্রেস বিধায়করা। ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াইনাডে সাহায্য করার জন্য নিজেদের এক মাসের ভাতা মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলে দান করার ঘোষণা করলেন তাঁরা।
বাম শাসিত কেরালার এলডিএফ জোট দুদিন আগে ঘোষণা করেছিল, তাদের সকল বিধায়ক ১ মাসের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করবেন। এই একই সিদ্ধান্ত এবার গ্রহণ করল বিরোধী জোট ইউডিএফ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জানায় ওয়াইনাডের মানুষের জন্য তাদের বিধায়করাও মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ১ মাসের বেতন প্রদান করবেন। এই ঘোষণা করেন কেরালার বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশান।
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। কেরালা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কে সুধাকরণ বলেন, সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ সরকারকে কোনও অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। একদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অর্থ দানের বিরুদ্ধে অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা সরকারকে সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা তথা কেরালা বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা জানান, 'আমি আমার ১ মাসের বিধায়ক ভাতা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করলাম। এই বিষয়ে দল আমাকে কোনও নির্দেশ দেয়নি। নিজের ইচ্ছায় আমি ভাতা দান করছি।'
বিরোধী দলনেতা সতীশান জানান, মানুষকে সাহায্যের জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে সরকারের এটাও দেখা উচিত, যাঁদেরকে পুরনো বাড়িতে ফেরানো হচ্ছে তাঁরা আদৌ সেখানে থাকতে পারবে কিনা। ওই স্থানে পুনরায় কোনও ধস নামবে না তো? ২০১৯ সালে কেরালা বিধানসভায় সমস্ত ধসপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আবহাওয়াবিদ ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এই কাজ করার কথা জানিয়েছিলাম।
প্রসঙ্গত, সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাম শাসিত কেরালা বিধানসভার ৬০ জন সিপিআইএম বিধায়ক তাঁদের এক মাসের সম্পূর্ণ বেতন অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা করবেন বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ টাকা এবং তাঁর স্ত্রী টি কে কমলা ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছেন তহবিলে। ২৫ লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেরল সিপিআইএম। দলের ত্রিপুরা এবং তামিলনাড়ু শাখা ১০ লক্ষ করে মোট ২০ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন