
কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এবং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মধ্যে বাকযুদ্ধ ইতিমধ্যেই অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যপালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য বুধবার কেরলের এলডিএফ সরকার আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশনের ডাক দেওয়ায় এই বিষয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।
নিয়ম অনুসারে, মন্ত্রিসভা অধিবেশনের তারিখ ঠিক করে চূড়ান্ত সম্মতির জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠায়। জানা গেছে, তারা এক নতুন বিল আনতে চলেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর হিসাবে রাজ্যপালকে অপসারণ করবে।
নতুন অধিবেশনের ঘোষণার কারণে, চ্যান্সেলর হিসাবে রাজ্যপালকে অপসারণের জন্য গত সপ্তাহে আরিফ মহম্মদ খানের কাছে যে অধ্যাদেশ পাঠানো হয়েছিল তা বাতিল হয়ে গেছে।
গত কয়েক মাস ধরে আরিফ মহম্মদ খান এবং পিনারাই বিজয়নের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে এবং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়ে মূল বিতর্ক।
কান্নুর ভাইস চ্যান্সেলরের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তাঁর নির্দেশ মানতে অস্বীকার করায় এরপর তিনি কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন মনোনীত সিনেট সদস্যকে বাদ দিয়েছিলেন।
সেই মামলাটি বর্তমানে কেরালা হাইকোর্টের বিচারাধীন এবং সেই মামলায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভিত্তিতে রাজ্যের ১০ জন উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন।
রাজ্যপাল খানের আচরণে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি জানিয়েছেন কারও বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ নেই এবং তিনি সেটাই চান যাতে সম্পূর্ণ বিষয়টি ইউজিসির নির্দেশিকা অনুসারে চলে।
এর আগে রাজ্যপাল খানের বিরুদ্ধে CPI-M-এর নেতৃত্বাধীন বামপন্থীরা মঙ্গলবার খানের সরকারি বাসভবনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। যদিও এই বিক্ষোভে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বা তাঁর মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা অংশ নেননি।
এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল খান বলেন, সকলের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, তবে তিনি কোনোরকম চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।
এখন রাজনৈতিক মহলের পুরো নজর বিধানসভার আসন্ন বিশেষ অধিবেশনের দিকে। যেখানে প্রস্তাবিত এই বিল পাশ করানোর জন্য পেশ করা হবে। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা স্পষ্ট করেছে যে তারা বিলটির তীব্র বিরোধিতা করবে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন