'কাশ্মীরিরা ভিখারি নয়, নির্বাচনের জন্য ভিক্ষা চাইবে না': ওমর আবদুল্লাহ

আবদুল্লাহ বলেন 'এই বছর যদি নির্বাচন না হয়, তাই হোক! আমরা ভিখারি নই। আমি বারবার বলেছি, কাশ্মীরিরা ভিক্ষুক নয়। নির্বাচন আমাদের অধিকার কিন্তু আমরা তাদের কাছে এই অধিকারের জন্য ভিক্ষা করব না।'
ওমর আবদুল্লাহ
ওমর আবদুল্লাহফাইল চিত্র

'নির্বাচন জনগণের অধিকার। কিন্তু, এর জন্য কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইবে না কাশ্মীরিরা।' মঙ্গলবার, এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে বিঁধেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (NC)-র সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah)।

অনন্তনাগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জম্মু- কাশ্মীরের প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ বলেন 'এই বছর যদি নির্বাচন না হয়, তাই হোক! আমরা ভিখারি নই। আমি বারবার বলেছি, কাশ্মীরিরা ভিক্ষুক নয়। নির্বাচন আমাদের অধিকার কিন্তু আমরা তাদের কাছে এই অধিকারের জন্য ভিক্ষা করব না। তারা নির্বাচন করতে চাইলে, তা আমাদের জন্য ভালো হবে। কিন্তু, কিন্তু, তারা যদি তা না করে- তাহলে তাই হোক।'

সম্পত্তি এবং নিজস্ব জমি থেকে লোকদের উচ্ছেদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, আবদুল্লাহ দাবি করেন- 'এটি জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন না হওয়ার অন্যতম কারণ।' তিনি বলেন, 'এ কারণেই তারা নির্বাচন করছেন না। তারা জনগণকে 'হয়রানি' করতে চায়। মানুষের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার পরিবর্তে, তা বাড়িয়ে তোলার প্রবণতা আছে তাঁদের (কেন্দ্র সরকারের)।'

অভিযোগের সুরে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি সরকার জানে, নির্বাচিত সরকার জনগণের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করবে। কিন্তু, তাঁরা তা চায় না। তাই, ক্ষতের উপর লবণ ছেটানোর কাজ করছে।'

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা দাবি করেন, 'সাম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার জেরে গ্রামের প্রতিরক্ষা কর্মীদের অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে কেন্দ্রে ব্যর্থতার প্রকাশ।

তিনি বলেন 'জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার সময় বিজেপির দাবি করেছিল, এই পদক্ষেপ 'বন্দুক সংস্কৃতি'কে কমিয়ে আনবে। কিন্তু, তাঁরাই নিজেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে।'

তিনি বলেন, '২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, ৩৭০ ধারা বাতিল করার সময় দেশকে জানানো হয়েছিল, ৩৭০ ধারা বাতিলের সাথে সাথেই বন্দুক সংস্কৃতি হ্রাস পাবে। কিন্তু, বাস্তব পরিস্থিতি অন্য কথা বলছে। আমরা কাশ্মীরের রাজৌরিতে যে ধরনের হামলা দেখেছি এবং যেভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, তা ইঙ্গিত করে- পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৯ জানুয়ারি) জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলার নামে জন্য গ্রামবাসীদের হাতে রাইফেল তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজৌরি জেলার ধানগাড়িতে প্রতিটি গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটির একজন সদস্যকে এসএলআর রাইফেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কিছু গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটির ২ থেকে ৩ জন সদস্যকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেলও দেওয়া হয়েছে। আর, এই পদক্ষেপকে নিরাপত্তা রক্ষায় 'কেন্দ্রের ব্যর্থতা' বলে অভিযোগ এনেছেন ওমর আবদুল্লাহ।

ওমর আবদুল্লাহ
Joshimath: যোশীমঠের মতো পরিণতি হতে পারে নৈনিতাল, কর্ণপ্রয়াগেরও! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in