

পাকিস্তানের সাথে কর্তারপুর করিডোর ১৭ নভেম্বর (বুধবার) থেকে আবার চালু হবে। গুরু নানকের জন্মবার্ষিকীর ঠিক দুই দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে এমনই জানালেন। রবিবার একটি শিখ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেন। তাঁরা করিডোরটি পুনরায় চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, শিখদের তীর্থস্থান করিডোরটি পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক সাহিব থেকে পাকিস্তানের দরবার সিং সাহিব গুরুদ্বারের সঙ্গে যুক্ত। মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এটি বন্ধ ছিল।
অমিত শাহ ট্যুইট করে লিখেছেন - “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার আগামীকাল ১৭ নভেম্বর থেকে কর্তারপুর সাহেব করিডোর পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত। ফলে বিপুল সংখ্যক শিখ তীর্থযাত্রীদের উপকৃত করবে।” তিনি আরও লেখেন – “দেশ ১৯ নভেম্বর শ্রী গুরু নানক দেবজির ‘প্রকাশ উৎসব’ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত এবং আমি নিশ্চিত যে মোদী সরকারের কর্তারপুর সাহিব করিডোর পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত সারা দেশে আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পরে, পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং কর্তারপুর করিডোর পুনরায় চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অমরিন্দর সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “করিডোরটি খোলার জন্য এখনকার চেয়ে ভাল উপলক্ষ আর হতে পারে না। কারণ হাজার হাজার ভক্ত গুরুপরবের দিনেই পবিত্র মন্দিরে প্রণাম করার সুযোগ পাবেন।”
উল্লেখ্য, কর্তারপুর করিডোর শিখ তীর্থযাত্রীদের ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানের গুরুদুয়ারা দরবার সাহিবে যেতে পারেন। করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে। ২০১৯ সালে শিখ গুরুর ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে করিডোরটির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল।
- with IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন