Karnataka: দলিত দম্পতির বিয়েতে বাধা, 'কমিউনিটি হল' ভাড়া দিতে অস্বীকার মন্দির কর্তৃপক্ষের!

মন্দিরের এই কমিউনিটি হলটি কর্ণাটকের মুজরাই বিভাগের (Muzrai Department) অধীনে। আর, সরকারি বিভাগের অধীনে থাকা 'ম্যারেজ কমিউনিটি' হলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে, নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে জাতিভেদের নক্কারজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মন্দিরের 'ম্যারেজ কমিউনিটি হল' ভাড়া নিতে চেয়েছিল এক দলিত পরিবার। তবে দলিত হওয়ার কারণে ওই পরিবারকে হল ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ!

ঘটনাটি ঘটেছে চিক্কাবল্লাপুর শহরের গুড়িবান্দে শহরে। অস্পৃশ্যতার অভিযোগ তুলে দলিত পরিবারটি দাবি করেছে, তাদের বর্ণের কারণে বিয়ের জন্য 'কমিউনিটি হল' দিতে রাজি হয়নি মন্দির কর্তৃপক্ষ।

জানা যাচ্ছে, মন্দিরের এই কমিউনিটি হলটি কর্ণাটকের মুজরাই বিভাগের (Muzrai Department) অধীনে। আর, সরকারি বিভাগের অধীনে থাকা 'ম্যারেজ কমিউনিটি' হলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে, নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

জানা যাচ্ছে, কর্ণাটকের ব্রাহ্মনারা হলির (Bramhanara Halli) বাসিন্দা আভুলুকোন্ডপ্পা (Avulukondappa) বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মন্দির পরিচালকদের কাছে যান। এরপর, মন্দিরের সেক্রেটারি, মাচাওয়ালাহাল্লি ভেঙ্কটারায়াপ্পা (Machavalahalli Venkatarayappa), তাকে বলেন যে, কমিউনিটি হলটি ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গেছে। তা, এখন আর পাওয়া যাবে না।

পরে দেখা যায়, ওই তারিখে ম্যারেজ হলটি কেউ বুকিং করেনি। আসলে, দম্পতিটি দলিত সম্প্রদায়ের হওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের মন্দিরের কমিউনিটি হলটি ভাড়া দেওয়া হয়নি। আভুলুকোন্ডপ্পার দাবি, কমিউনিটি হলটি ভাড়া দেওয়া হয়নি কারণ, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দলিত সম্প্রদায়ের ছিলেন।

এরপর, এ বিষয়ে গুড়িবান্দের তহসিলদার (Tehsildar of Gudibande) এবং সমাজকল্যাণ আধিকারিকদের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই দলিত দম্পতি। দলিত সংগঠনগুলিও এ ব্যাপারে তালুক অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

ছবি - প্রতীকী
UP: যোগী রাজ্যে বৈষম্যের শিকার স্কুলের দলিত ছাত্র-ছাত্রীরাও, তুঙ্গে জাতপাতের রাজনীতি!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in