

কেরালা ও তামিলনাড়ুর পর এবার কর্ণাটক সরকারও কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিল। সোমবার সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির বদলে এবার কর্ণাটক শিক্ষামন্ত্রক রাজ্যের জন্য আলাদা এক শিক্ষানীতি তৈরি করবে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সেই নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে কেরালার বাম সরকার ও তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারও মোদী সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি বর্জন করেছে।
সোমবার সরকারিভাবে একটি বিবৃতি জারি করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, “রাজ্যগুলির অনাস্থা সত্ত্বেও জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। কিন্তু এতগুলো রাজ্যের উপর একটিমাত্র শিক্ষানীতি কখনও চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ভারতের মতো এত বৈচিত্র্যপূর্ণ বহুত্ববাদী দেশে কেন্দ্রের অভিন্ন শিক্ষানীতি কার্যকর করা অসম্ভব। এই কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষানীতি তৈরি করতে পারে না।” পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে তিনি কেরালা ও তামিলনাড়ুর এই শিক্ষানীতি বর্জনের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারেও কংগ্রেস কেন্দ্রের এই বহু বিতর্কিত শিক্ষানীতি তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এবার নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে করা সেই প্রতিশ্রুতিই রাখার পথে এগোচ্ছে কর্ণাটকের শাসকদল কংগ্রেস। রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানিয়েছেন, সোমবার রাজ্য সরকারের আধিকারিক, শিক্ষামন্ত্রক এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে শিবকুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “বিজেপি সরকারের গৃহীত জাতীয় শিক্ষানীতি এই রাজ্যে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে আমরা নতুন কর্ণাটক শিক্ষানীতি নিয়ে আসবো।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “রাজ্যের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির খুঁটিনাটি তৈরির জন্য আগামী সপ্তাহেই একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হবে।” উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কর্ণাটকের তৎকালীন বিজেপি সরকার দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন