

কর্ণাটকের বিধান পরিষদ নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী (বেঙ্গালুরু আরবান) ইউসুফ শরীফ ওরফে কেজিএফ বাবু ওরফে স্ক্র্যাপ বাবু, নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় জানিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির মোট পরিমান ১৭৪৩ কোটি টাকা। আপাতত এই ইউসুফ শরীফই হলেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে ধনী রাজনীতিবিদ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ক্ষুদ্র শিল্প ও পৌর প্রশাসনের মন্ত্রী এমটিবি নাগরাজ, তাঁর ১২০০ কোটি টাকার সম্পদ ঘোষণা করেছিলেন। এরদিন তাঁকে রাজ্যের সবচেয়ে ধনী রাজনীতিবিদ হিসাবে ধরা হত। কিন্তু এখন কংগ্রেস প্রার্থী ইয়সুফ শরীফ তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন।
৫৪ বছর বয়সী ইউসুফ, তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি একটি হাত ঘড়ি ব্যবহার করেন, যার দাম ১.১০ কোটি টাকা। এছাড়াও তাঁর কাছে আছে ৪.৮ কেজি সোনা ও বেঙ্গালুরুর এবং আশেপাশে ১৫৯৩.২৭ কোটি টাকা মূল্যের কয়েকশো শতক কৃষি ও কৃষিযোগ্য নয় এমন জমি রয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনি বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের কাছ থেকে একটি রোলস রয়েস ফ্যান্টম গাড়ি কিনেছেন।যেজন্য কিছুদিন আগে তিনি সংবাদের শিরোনামে ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, গাড়িটির যথেষ্ট নথি নেই, তাই পরিবহন কর্মকর্তারা গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছিলেন।
সূত্রের খবর, ইউসুফ শরীফের সম্পত্তির পরিমান ৪০০০ কোটিরও বেশি। একসময় নিদারুন দারিদ্যের মধ্যে দিন কেটেছিল তাঁর। ১৪টি ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ইউসুফ বাবু বড় হয়েছেন কোলার গোল্ড ফিল্ডে (কেজিএফ)। তিনি ভারত গোল্ড মাইনের স্ক্র্যাপ ম্যাটেরিয়াল বিভাগে কাজ করতেন। তাঁর বাবা একটি বেকারির মালিক ছিলেন। বেকারি লোকসানে চলায় একসময় তিনি অটো চালিয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হন।
শরীফের ব্যবসা মূলত জমি কেনা-বেচা। তাঁর দুই স্ত্র, রুকাসানা তাজ ও শাজিয়া তারান্নুম এবং পাঁচ সন্তান রয়েছে। হলফনামায় ইউসুফ ১০০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ১৬৪৩.৫৯ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে চিত্রদুর্গ থেকে কংগ্রেস প্রার্থী বি.সোমশেকর ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন। ধারওয়াড় থেকে বিজেপি প্রার্থী (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তারের ভাই) প্রদীপ শেত্তার ৮৯ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি, সুরজ রেভান্না ৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন হলফনামায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন