কয়েক মাস পরেই কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, দীপাবলিতে রাজ্যের কিছু সাংবাদিককে মিষ্টির বাক্স ও ₹ ১ লক্ষ 'নগদ উপহার' পাঠিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এই অভিযোগ ওঠার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে নিশানা করেছে বিরোধী কংগ্রেস।
পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস।
তবে, কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই দাবি করেছেন, এই ঘটনাই তাঁর কোনও হাত নেই। পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। কংগ্রেসের চক্রান্ত। এটি কংগ্রেসের টুলকিট (Toolkit)।
মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই জানিয়েছেন, 'কেউ এই বিষয়ে লোকায়ুক্তের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমিও চাই তদন্ত হোক এবং সত্য বেরিয়ে আসুক।'
রবিবার, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বোম্মাই বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বিভিন্ন মানুষকে তারা কী উপহার দিত তা 'পরিস্কার জানা' আছে। মিডিয়াও এই নিয়ে রিপোর্ট করেছিল, তা আইফোন বা ল্যাপটপ বা সোনার মুদ্রা হোক।
তিনি বলেন, 'তাদের (কংগ্রেস) কী নৈতিকতা আছে? সর্বোপরি, কেউ এই বিষয়ে লোকায়ুক্তের কাছে অভিযোগ করেছে এবং লোকায়ুক্ত তদন্ত করবে। উপহারগুলো দেওয়া হয়েছে, না সব সাংবাদিকরা নিয়েছে - তা ব্যাখ্যা করা যাবে না। গতকাল কংগ্রেসের এক মুখপাত্র এটির ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমি এর নিন্দা জানাই।'
গতকালই, উপহারের নামে সাংবাদিকদের উৎকোচ দেওয়ার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বক্তব্যকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'না খাউঙ্গা অউর না খানে দুঙ্গা। পর জরুর খিলাউঙ্গা।'
রাহুল গান্ধীও একই কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, 'নির্বাচনের আগে, আমি ঘুষ নেব না, অনুমতিও দেব না। নির্বাচনের পরে ৪০ শতাংশ কমিশন খাব, তারপর দীপাবলিতে মিষ্টির বাক্সে কর্ণাটকের সংবাদমাধ্যমকে ঘুষ পাঠাব।'
জানা যাচ্ছে, বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেই এক অফিসার নির্দিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঠিয়েছিলেন এই 'উপহার'। তবে, একাধিক সাংবাদিক সেই নগদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। লিখিত ভাবে অনেকেই জানিয়ে দিয়েছেন - মুখ্যমন্ত্রীর এই 'উপহার' গ্রহণ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।