কর্নাটকের একটি স্কুলে ক্যাম্প করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দল। সকলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, কিভাবে চালাতে হবে এয়ার গান, ত্রিশূল। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই টানা এক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্প চালিয়েছে তাঁরা। এ নিয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)।
সূত্রের খবর, গত ৫ থেকে ১১ মে, কর্নাটকের কোদাগু জেলায় সাই শঙ্কর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দল। এক সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিল ১১৬ জন বজরং দলের কর্মীরা। কিন্তু, কিভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ চালাতে পারে বজরং দল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নিরাবতা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে, এই অস্ত্র প্রশিক্ষণের কারণ কী বা ওই এয়ার গানগুলির লাইসেন্স আছে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস ও এসডিপিআইয়ের মতো একাধিক দল।
তবে কর্ণাটকের পুলিশ সুপার এমএ আইয়াপ্পা জানিয়েছেন, ‘প্রতি বছর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল এই শিবিরের আয়োজন করে। এ বছরও করেছিল। তবে কোনও অনুমতি নেয়নি। সোশাল মিডিয়া থেকে এর বিষয়ে জানতে পেরেছি। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্ত্র আইনে এয়ার গান ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিতে হয় না। এই নিয়ে তদন্ত করছি।’
এদিকে, বজরং দলের আঞ্চলিক কনভেনার রঘু শাকলেশপুর জানিয়েছেন, ‘ক্যাম্পে সদস্যদের যে ত্রিশূল দেওয়া হয়েছিল, তা ভোঁতা ছিল। আর প্রশিক্ষণের জন্য এয়ার গান ব্যবহার হয়েছিল। আত্মরক্ষার জন্যই এই পাঠ দেওয়া হয়েছিল।’
তবে এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে বজরং দলকে বিঁধেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘যে বয়সে বেশিরভাগ যুবক স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম করেন। সেসময় বজরং দল ওই যুবকদের ধর্মের নামে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাঁদের জীবন ধ্বংস করছে। যে কোনও মূল্যে এই কাজ বন্ধ হওয়া দরকার।’
অন্য আরেক টুইট বার্তায় কংগ্রেস বিধায়ক দীনেশ গুন্ডু রাও লেখেন, ‘কেন বজরং দলের কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে? লাইসেন্স ছাড়া আগ্নেয়াঅস্ত্র রাখা অপরাধ নয় কি?’ একইসঙ্গে, বজরং দলের নেতাদের গেপ্তারের দাবি তুলেছে কর্ণাটক কংগ্রেস।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।