

সোমবার ভারতের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। রবিবার ৬৫ বছরে পা দিয়েই প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়েছেন বিচারপতি গবই। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন বিভিন্ন যুগান্তকারী রায়ের অংশ হিসেবে থাকা বিচারপতি সূর্য কান্ত। ২০২৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পদে থাকবেন তিনি।
১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, হরিয়ানার হিসারে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। ১৯৮৪ সালে রোহতকের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ওই বছরই হিসার জেলা আদালতে আইন প্র্যাকটিস শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের জন্য চণ্ডীগড়ে চলে আসেন।
এরপর ২০০০ সালে তিনি হরিয়ানার সর্বকনিষ্ঠ অ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০১১ সালে কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'প্রথম শ্রেণীতে প্রথম' স্থান অর্জন করে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৮ সালে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয় বিচারপতি কান্তকে। একবছর পরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়ের অংশ ছিলেন তিনি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া বিল মোকাবিলায় রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্পর্কে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স মামলা। ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত মামলার বেঞ্চেরও অংশ ছিলেন তিনি।
বিচারপতি কান্তই বিহারের এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনকে। তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য 'ওয়ান র্যাঙ্ক-ওয়ান পেনশন' প্রকল্পকে সমর্থন করেন। তিনি পেগাসাস স্পাইওয়্যার মামলার শুনানিকারী বেঞ্চেরও অংশ ছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন