গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়াতে পারেন আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেন।
অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত বছর জুনে মাসে রাঁচি জেলায় একটি ০.৮৮ একর পাথর খাদানের ইজারা হেমন্ত সোরেন নিয়েছিল। এই অভিযোগ তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রঘুবর দাস। গত ফেব্রয়ারি মাসে রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করে এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথি তাঁকে জমা দিয়েছেন রঘুবর দাস। সেই নথি খতিয়ে দেখার পর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। কমিশন ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কমিশনকে রিপ্লাই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে কংগ্রেসের সাথে মিলে জোট সরকার চালাচ্ছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা হেমন্ত সোরেন।
বিজেপির অভিযোগ, হেমন্ত সোরেন, যিনি খনি মন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছেন, ইজারা কেড়ে নেওয়ার জন্য নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি তুলেছে তারা।
ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টেও এই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৯২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত যে কোনো জনপ্রতিনিধিকে অযোগ্য ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। এক্ষেত্রে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারেন রাজ্যপাল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।