দুর্নীতির অভিযোগে পদ খোয়াতে পারেন হেমন্ত সোরেন, রাজ্যপালের নির্দেশে তদন্ত শুরু নির্বাচন কমিশনের

সংবিধানের ১৯২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত যে কোনো জনপ্রতিনিধিকে অযোগ্য ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়াতে পারেন আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেন।

অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত বছর জুনে মাসে রাঁচি জেলায় একটি ০.৮৮ একর পাথর খাদানের ইজারা হেমন্ত সোরেন নিয়েছিল। এই অভিযোগ তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রঘুবর দাস। গত ফেব্রয়ারি মাসে রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করে এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথি তাঁকে জমা দিয়েছেন রঘুবর দাস। সেই নথি খতিয়ে দেখার পর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। কমিশন ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কমিশনকে রিপ্লাই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে কংগ্রেসের সাথে মিলে জোট সরকার চালাচ্ছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা হেমন্ত সোরেন।

বিজেপির অভিযোগ, হেমন্ত সোরেন, যিনি খনি মন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছেন, ইজারা কেড়ে নেওয়ার জন্য নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি তুলেছে তারা।

ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টেও এই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৯২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত যে কোনো জনপ্রতিনিধিকে অযোগ্য ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। এক্ষেত্রে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারেন রাজ্যপাল।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন
ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন সরকারকে ফেলতে কংগ্রেস বিধায়ককে ১ কোটির টোপ!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in