Jharkhand: ঝাড়খন্ড সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি - অভিযোগ কংগ্রেসের
বিজেপি ভয় দেখিয়ে রাজ্য সরকারকে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বুধবার ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পান্ডে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন: "দলীয় বিধায়কদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে সরকারের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে এবং জোটকে অস্থিতিশীল করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিজেপির এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিধায়করা দলের প্রতি আস্থাশীল আছেন এবং হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকার জনগণের দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদ পূর্ণ করবে। দলে বিভ্রান্তি তৈরি করার লক্ষ্যে বিধায়কদের বিদ্রোহের গুজবের ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।
পান্ডে জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ তিনি সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য রাজ্যে ছিলেন।
গত সপ্তাহে, খনির ইজারা ইস্যুতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ভাই এবং রাজ্যের বিধায়ক বসন্ত সোরেনকে নোটিশ জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, দুমকার বিধায়ক বসন্ত সোরেন।
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই হেমন্ত সোরেনের কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে, যাতে রাজ্যের একটি খনির ইজারা দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগে তাঁর অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছে।
নোটিশে কমিশন জানিয়েছে, তাঁর কাজটি প্রাথমিকভাবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ৯এ লঙ্ঘন করে, যা সরকারী চুক্তির জন্য একজন আইন প্রণেতার অযোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত।
গত এপ্রিল মাসে, কমিশন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিবের সাথেও যোগাযোগ করে এবং তাঁকে ইজারা বরাদ্দ সংক্রান্ত নথির প্রমাণ দিতে বলে।
কমিশন ইতিমধ্যে রাজ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে বরাদ্দ করা একটি পাথর খনির ইজারা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে নথিপত্রের পরীক্ষা করা শুরু করেছে।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯এ ধারায় বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিত্বের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, যদি সরকার কর্তৃক গৃহীত কোন কাজ সম্পাদন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর বাণিজ্য বা ব্যবসা চলাকালীন সময়ে সরকারের সাথে পণ্য সরবরাহের জন্য বা তার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত থাকে।
- with inputs from IANS
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

