

জনসাধারণের উদ্বেগে পিছু হঠতে বাধ্য হলো ভারতীয় রেলের টিকিট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা আইআরসিটিসি (IRCTC)। যাত্রীদের ব্যক্তিগত তথ্য ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা নিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা আয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল IRCTC। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ কথা জানিয়েছে।
শুক্রবার, IRCTC-র তরফ থেকে সংসদীয় প্যানেলকে জানানো হয়েছে, যাত্রী এবং মালবাহী গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ডিজিটাইজেশনের জন্য কোনও পরামর্শদাতা নিয়োগ করবে না। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের সভাপতিত্বে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে আইআরসিটিসি এই বিবৃতি দিয়েছে।
আইআরসিটিসি-র ডিজিটাইজেশনের সিদ্ধান্তের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দেশের জনসাধারণ। তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্তে আমজনতার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা হবে, ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করা হবে। সেই উদ্বেগের কথা মাথায় রেখেই সংসদীয় প্যানেল আইআরসিটিসি-র কর্মকর্তাদের তলব করেছিল। পাশাপাশি এই বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়।
শুক্রবার, আইআরসিটিসি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনী হাসিজা অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে সংসদীয় প্যানেলের সামনে হাজির হন। তাঁদের মধ্যে এক কর্মকর্তা জানান, "ডেটা সুরক্ষা বিলের অনুমোদন না পাওয়ার কারণে টেন্ডারটি প্রত্যাহার করেছে আইআরসিটিসি।" প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রবল আপত্তির জেরে গত ৩ আগস্ট তথ্য সুরক্ষা বিল, ২০১৯ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে প্রায় হাজার কোটি টাকা আয় করার অভিযোগ উঠেছিল আইআরসিটিসি-র বিরুদ্ধে। প্রতিবছর ভারতীয় রেল ৪ লক্ষেরও বেশি টিকিট বিক্রি করে। যাত্রীদের একটা বড় অংশের একাধিক ব্যক্তিগত তথ্য জমা থাকে রেলের কাছে। নিজেদের আয় বাড়ানোর জন্য এবার সেইসব তথ্যই ডিজিটাইজেশনের পরিকল্পনায় ছিল ভারতীয় রেল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন