

একটি বা দু’টি নয়। একসঙ্গে ২১টি কেন্দ্রীয় সংস্থা চলছে কোনও পূর্ণ সময়ের শীর্ষ আধিকারিক বা প্রধান ছাড়াই। এই তালিকায় রয়েছে - মহারত্ন সংস্থা ‘তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন’ বা ONGC, নবরত্ন অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (OIL), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড (IRCTC)।
জানা যাচ্ছে, দেশের বৃহত্তম তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনকারী সংস্থা ONGC-তে নেই কোনও চেয়ারম্যান বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ২০২১ সালের ১ লা এপ্রিল থেকে এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আবার ১ জুলাই, ২০২২ থেকে কোনও শীর্ষ আধিকারিক ছাড়াই চলছে ONGC-র সহযোগী সংস্থা অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (OIL)।
একইভাবে, ভারতীয় রেল মন্ত্রকের ক্যাটারিং সংস্থা IRCTC-তে পূর্ণ সময়ের চেয়ারম্যানের পদ খালি পড়ে আছে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দীর্ঘ ১৮ মাস এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL), এবং ১ জুন থেকে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (SCI) চেয়ারম্যান পদ খালি পড়ে আছে। কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এছাড়া, পূর্ণ-সময়ের চেয়ারম্যান বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছাড়াই চলছে মহানদী কোলফিল্ডস (Mahanadi Coalfields), এইচএমটি লিমিটেড (HMT Ltd), হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (Heavy Engineering Corporation Ltd) এবং সাগরমালা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (Sagarmala Development Company Ltd)।
ফলে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে- কি কারণে এই সংস্থাগুলির শীর্ষ পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না? কেনই বা দীর্ঘদিন এই অবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ (CPSE)?
প্রসঙ্গত, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (SCI) এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (OIL)-এ ক্ষেত্রে চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD) এবং ম্যানেজিং (MD) পদের জন্য প্রার্থীদের সুপারিশ করে থাকে পাবলিক এন্টারপ্রাইজ সিলেকশন বোর্ড (PESB)।
আর, ওএনজিসি (ONGC), আইআরসিটিসি (IRCTC) এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL)-এ চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD) এবং চেয়ারপার্সন (Chairperson) নিয়োগ হয়ে থাকে সিভিল সার্ভিসেস বোর্ড (Civil Services Board) অথবা সার্চ কাম সিলেকশন কমিটি (Search Cum Selection Committee)-র মাধ্যমে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন