পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। এর পর থেকে অশান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা। পাকিস্তানের লাগাতার গোলা-গুলি বর্ষণে জম্মুর পঞ্চু সীমান্তে শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনার এক জওয়ান। এছাড়া জানা গেছে, এই গুলি বর্ষণের ফলে চারজন শিশু-সহ ১৩ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।
শহিদ সেনার নাম ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার। হরিয়ানার পালওয়াল জেলার বাসিন্দা তিনি। ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন দীনেশ। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষ্ণা ঘাঁটিতে মোতায়েন ছিলেন। বছর বত্রিশের জওয়ান কৃষ্ণা ঘাঁটিতে টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় পাক সেনার ছোড়া শেলিংয়ে গুরুতর যখন হন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন গ্রামগুলিতে গোলা এবং গুলিবর্ষণ চালাচ্ছে পাক সেনা। এর জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জম্মুর পঞ্চু জেলায়। জানা গেছে, সেখানে মৃত্যু হয়েছে সেনা-সহ ১৩ জনের। যার মধ্যে রয়েছে চার শিশু। এছাড়া আহত ৫০ জনেরও বেশি। বুধবার গভীর রাতে উরি, কুপওয়ারাতেও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে পাকিস্তান।
যদিও পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারত। পাক হামলা রুখতে পাল্টা আক্রমণ হেনেছে ভারত। যার জেরে পাকিস্তানে হতাহত বেশ কয়েকজন বলে জানা গেছে। এছাড়া যে কোনও ধরণের হামলা রুখতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধী ইউনিটগুলিকে সক্রিয় রাখা হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে দিল্লি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হানায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান হয়। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। দুই দেশের সংঘর্ষের জেরে আপাতত উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন