

স্কুলের টিফিনে আমিষ খাবার নিয়ে যাওয়ায় নার্সারির পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। বাচ্চাটির ধর্মীয় পরিচয় নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ওই প্রিন্সিপ্যাল বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ শিক্ষক দিবসের দিন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। প্রায় সাড়ে চার মিনিটের ওই ভিডিওতে প্রিন্সিপ্যাল ও ৫ বছরের ওই পড়ুয়ার মায়ের মধ্যে তীব্র তর্কবিতর্ক হতে দেখা যায়। (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।)
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে প্রিন্সিপ্যালকে পড়ুয়ার মায়ের উদ্দেশ্যে বলতে দেখা যায়, "আপনার ছেলে স্কুলের টিফিনে আমিষ খাবার নিয়ে এসেছিল। সে অন্যান্য ছাত্রদের বলেছে আমিষ খাইয়ে তাদের ধর্মান্তিরত করবে। ক্লাসের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম করে। রামমন্দির ভাঙার কথা বলে।"
ওই ছাত্রের মা বলেন, স্কুলের মধ্যেই অন্যান্য ছাত্ররা এমন আলোচনা করে। আমার ছেলে খুবই নিরীহ। ও এসব বলতে পারে না।
পাল্টা প্রিন্সিপ্যাল বলেন, এইগুলো শেখাচ্ছেন আপনারাই। এমন একজন পড়ুয়াকে আমরা শিক্ষা দিতে পারব না। ওকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হল। অন্যান্য অভিভাবকরাও অনেক আপত্তি করেছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রিন্সিপ্যালের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে আমরোহার মুসলিম কমিটি। তাঁরা জেলাশাসককে ওই প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছেন। প্রিন্সিপ্যালকে গ্রেফতারির পাশাপাশি সাসপেন্ড করারও দাবি জানিয়েছে মুসলিম কমিটি।
আমরোহার বেসিক এডুকেশন অফিসার ৩ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে ঘটনার তদন্ত করার জন্য। তিন জনই সরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ। তাঁদেরকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন